ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নিহতের দেবর নুরে আলমকে আটক করেছে থানা পুলিশ। নিহত গৃহবধূর ফাহিমা বেগম (২৭)। তিনি তিন সন্তানের জননী।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলার সাচড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের রামকেশব গ্রামের একটি পুকুর থেকে ওই নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আব্দুল মন্নান বিশ্বাস বোরহানউদ্দিন থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। সকালে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাতে ফাহিমা বেগমকে পিটিয়ে হত্যা করে তার স্বামী নজরুল ও তার পরিবার লোকজন পানিতে ফেলে দেয়। পরে পানিতে পড়ে ফাহিমার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচার চলায়। কিন্তু নিহত ফাহিমা বেগমের মুখের বাম পাশে ও গলায় আঘাতের চিহ্ন থাকায় সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়। পরে স্বামী নজরুল পালিয়ে যান। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। এ সময় নজরুলের ছোট ভাই নুরে আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।
নিহত ফাহিমা বেগমের বাবার অভিযোগ, আমার মেয়ের ঘরে একটি ছেলে ও দুই মেয়ে সন্তান রয়েছে। আমার জামাই নজরুল ইসলাম বিভিন্ন সময় আমার মেয়েকে মারধর করতো। কিন্তু সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে আমার মেয়ে সব কষ্ট মেনে নেয়। সোমবার রাতে আমার মেয়েকে জামাইসহ তার পরিবার পিটিয়ে হত্যা করে। ফযরের আযানের আগে আমার ছেলে আকতারকে জামাই নজরুল ফোন করে বলে তোর বোন পানিতে ডুবে মারা গেছে। এ খরব শুনে গিয়ে দেখি আমার মেয়ের মুখের বাম পাশে ও গলায় বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন। ওরা আমার মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা করে পানিতে ফেলে দেয়। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
বোরহানউদ্দিন থানার ওসি এনামুল হক বলেন, এ ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী নজরুলের ছোট ভাইকে আটক করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
টাইমস/এইচইউ