করোনাভাইরাসে প্রভাবে জার্মানির কিছু চিড়িয়াখানা এমনই অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে যে, সেখানে থাকা প্রাণীদের খাবার পর্যন্ত দিতে কষ্ট হচ্ছে। এই সংকটের কারণে চিড়িয়াখানার কিছু প্রাণীকে মেরে ফেলা হতে পারে। এমনই ইঙ্গিত দিয়েছে জার্মানির উত্তরাঞ্চলের নিউমুনস্টার চিড়িয়াখানার পরিচালক ভেরেনা কাসপারি। খবর বিবিসি
সংবাদমাধ্যমকে ভেরেনা কাসপারি বলেছেন, করোনার সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য জার্মানিতে আরোপ করা লকডাউনে চিড়িয়াখানাগুলো দর্শকশূন্য হয়ে পড়েছে। ফলে তাদের সাপ্তাহিক লোকসান হচ্ছে অন্তত পাঁচ লাখ ইউরো। এই আর্থিক সংকটে পড়ে চিড়িয়াখানাগুলো সরকারি অনুদান প্রার্থনা করছে।
ভেরেনা কাসপারি বলছেন, চিড়িয়াখানা টিকিয়ে রাখতে কিছু প্রাণীকে মেরে ফেলা হতে পারে। প্রথমে যে প্রাণীগুলো মেরে ফেলা হবে তার একটা তালিকাও তৈরি করা হয়েছে। তবে, এটা একেবারেই শেষ বিকল্প। কারণ, সেটা করলেই যে আর্থিক সমস্যা মিটবে তা-ও নয়।
তিনি বলছেন, সীল ও পেংগুইনের মত প্রাণীর প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ তাজা মাছ দরকার। সেরকম খাদ্য সংকট হলে আমাদের কিছু প্রাণীকে মানবিকভাবে মেরে ফেলতে হবে, অন্তত তাদের খেতে না দেয়ার চেয়ে সেটা ভালো হবে।
তিনি আরও বলছেন, “আরেকটা হতে পারে কিছু প্রাণীকে অন্য প্রাণীর খাদ্য হিসেবে দিয়ে দেয়া।”
জার্মানির চিড়িয়াখানাগুলোর সমিতি বলছে, এটা অন্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মত যখন খুশি বন্ধ করে দেয়া যায় না। প্রাণীদের প্রতিদিন খাবার দিতে হয়, যত্ন নিতে হয়। কোনো কোনো খাঁচা সার্বক্ষণিকভাবে ২০ ডিগ্রির চেয়ে বেশি গরম রাখতে হয়।
টাইমস/জিএস