গাজীপুর সদর উপজেলায় একটি মোটর ওয়ার্কশপের ভেতর থেকে এক কর্মচারীর হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ভবানীপুর বাজারের রাফি-রাতুল টায়ার অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের ভেতর থেকে ওই কর্মচারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের নাম কাউছার (১৯)। সে ভোলার তজুমুদ্দিন থানার মলমসুরা গ্রামের মোকসেদ আলীর ছেলে। তিনি ওই ইঞ্জিনিয়ারিং শপের কর্মচারী ছিলেন। ওই দোকানের মালিক স্থানীয় মো. রিয়াজ উদ্দিন শেখ।
দোকান মালিক রিয়াজ উদ্দিন জানান, কাউছার স্থানীয় নার্গিসের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। দোকানের নিরাপত্তার স্বার্থে তিনি রাতে দোকানেই থাকতেন। প্রতিদিনের মতো বুধবারও তিনি দোকানেই ছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোরে তাকে মোবাইলে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে না পেয়ে তিনি দোকানে যান। পরে দোকানে তার হাত-পা বাঁধা মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন।
জয়দেবপুর থানার ওসি মো. জাবেদুল ইসলাম জানান, বুধবার রাতে দোকান মালিকের ভায়রা নয়নের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যান কাউছার। দাওয়াত খেয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি দোকানে ফেরেন। সেখানেই ঘুমিয়ে থাকেন। পরে রাতের কোনো একসময় ঘাতকরা তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ভেতর থেকে একটি লাঠি দিয়ে আটকে রেখে পালিয়ে যায়।
ওসি বলেন, বৃহস্পতিবার ভোরে দোকান মালিক রিয়াজ উদ্দিন ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে না পেয়ে তিনি দোকানে গিয়ে কাউছারকে ডাকাডাকি করেন। ডাকাডাকির একপর্যায়ে ভেতর থেকে সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজায় ধাক্কা দিলে দরজাটি খুলে যায় এবং দোকানের ভেতরে কাউছারের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। নিহতের গলায় কাপড় পেঁচানো ও হাত-পা রশিতে বাঁধা ছিল।
পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটে থাকতে পারে বলে জানান ওসি।
টাইমস/এইচইউ