জেনে নিন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় কারা অনুদান দেয়

জাতিসংঘের একটি বিশেষ সংস্থা হলো- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটি বিশ্বব্যাপী মানুষের স্বাস্থ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালের ৭ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত হয়। এর সদর দফতর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায়। এর ছয়টি আধা-স্বায়ত্তশাসিত আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে। সেগুলো হল- আফ্রিকা, পূর্বাঞ্চলীয় ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল, ইউরোপ, আমেরিকা, দক্ষিণপূর্ব এশিয়া এবং পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল। এছাড়াও মাঠ পর্যায়ে রয়েছে ১৬০টি কার্যালয়।

যেভাবে কাজ করে
১৯৪ সদস্যবিশিষ্ট রাষ্ট্রের প্রতিনিধি সমন্বয়ে ডব্লিউএইচও’র গভর্নিং বডি বিশ্ব স্বাস্থ্য অ্যাসেম্বলি (ডব্লিউএইচএ) নির্বাচিত হয়। এটি ৩৪ জন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে গঠিত হয়। ডব্লিউএইচএ বার্ষিক সম্মেলন এবং মহাপরিচালক নির্বাচন, লক্ষ্য ও অগ্রাধিকার নির্ধারণ, বাজেট এবং কার্যক্রম অনুমোদিত করার জন্য দায়বদ্ধ। এর বর্তমান মহাপরিচালক টেড্রোনস আধানম ইথিওপিয়ার সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বিশ্বজুড়ে সংস্থাটির সাত হাজারের বেশি কর্মী রয়েছে।

সংস্থাটি যা করেছে
৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সংস্থাটি মহামারী ও স্বাস্থ্য ইস্যুতে বহু জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে। এটি গুটিবসন্ত, পোলিও এবং ইবোলা নির্মূলে ভূমিকা পালন করেছে। ইবোলার ভ্যাকসিন তৈরিতেও ডব্লিউিইচও’র ভূমিকা অতুলনীয়।

আসুন জেনে নিই, যাদের অনুদানে চলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
২০১৯ সালে মোট অনুদানের পরিমাণ ছিল ৫.৬২ বিলিয়ন ডলার। সংস্থাটির মূল আর্থিক জোগানদাতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেয় ৫৫৩.১ মিলিয়ন ডলার, যা মোট অনুদানের ১৪.৬৭ শতাংশ। আর্থিক অনুদানকারীর তালিকায় এরপরই রয়েছে মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা ও বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী বিল গেটসের ফাউন্ডেশন বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস। তারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে দেয় ৯.৭৬ শতাংশ অর্থাৎ ৩৬৭.৭ মিলিয়ন ডলার। এছাড়া জেনেভার একটি সংস্থা জিএভিআই এর পক্ষ থেকে দেয়া হয় ৮.৩৯ শতাংশ অনুদান। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থান রয়েছে যথাক্রমে ব্রিটেন ৭.৭৯ শতাংশ, ১১ মিলিয়ন এবং জার্মানি ৫.৬৮ শতাংশ, ১৫ মিলিয়ন।

এছাড়াও চীন এই সংস্থাকে অনুদান দেয় মাত্র ০.২১ শতাংশ। চীনের থেকেও বেশি অনুদান দেয় ভারত ও পাকিস্তান। ভারতের আর্থিক অনুদান ০.৪৮ শতাংশ ও পাকিস্তান দেয় ০.৩৬ শতাংশ।

বিভিন্ন দেশের আর্থিক অনুদানের পাশাপাশি বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠন থেকেও আর্থিক অনুদান গ্রহণ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এছাড়া সদস্য দেশগুলোর কাছ থেকে ফি হিসেবে আর্থিক অনুদান নেয় দেশটি। এই ফি সংশ্লিষ্ট দেশটির জনসংখ্যা, অর্থনৈতিক অবস্থা ও জনস্বাস্থ্যের অবস্থার ওপর নির্ভর করে।

এরই মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় অর্থায়ন বন্ধের ঘোষণা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ডব্লিউএইচওর বিরুদ্ধে চীনের প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করা এবং সত্য ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগ তুলেছেন।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on:

সর্বশেষ