করোনায় বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা বাড়ানো পরামর্শ

বিশ্বজুড়ে নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা প্রতিদিন বেড়ে চলেছে, একইসঙ্গে আমাদের দেশেও আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। কোভিড-১৯ এর এই মহামারী ঠেকাতে এখন একমাত্র উপায় সামাজিক বিচ্ছিন্নতা। আমরা দীর্ঘদিন ধরে কোভিড-১৯ থেকে বাঁচতে নিজ নিজ গৃহে আবদ্ধ হয়ে রয়েছি।

এ পরিস্থিতিতে অনেকের ভেতরে অস্থিরতা কাজ করছে। কারো হয়তো মানসিক স্বাস্থ্য ভেঙেও পড়ছে। এমন যাদের অবস্থা তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা বাড়াতে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা।

প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে মনবিদ লরা কে মুরারি লিখেছেন, কী করতে হবে, কী করা উচিত। চলুন বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা বাড়ানো সেসব পরামর্শগুলো জেনে নিই-

নিজের সচেতনতা বাড়ান
নিজের সচেতনতা বাড়াতে ছোট একটি কৌশল কাজে লাগালেই সফল হওয়া সম্ভব। প্রতিদিন সকালে নিজের অনুভূতিগুলো ৬০ সেকেন্ড ধরে কাগজে লিখুন। এরপর বিকেলেও একই কাজ করুন। কমপক্ষে দুটি দুশ্চিন্তার কথা লিখুন। যেগুলো নিজে সমাধান করার দরকার নেই। শুধু লিখে রাখুন।

নিজের অনুভূতিগুলোর পাশে মার্ক দিন। যেটি আপনাকে বেশি ভোগাচ্ছে, তার পাশে বেশি মার্কস দিন।

কোনো বিষয়ে রাগ হলে এভাবে লিখতে পারেন, (৭/১০), (৮/১০) অর্থাৎ ১০ এর মধ্যে ৭, ১০ এর মধ্যে ৮। কয়েক দিন গেলে নিজেই অনুভূতির পার্থক্য টের পাবেন। দেখবেন চিন্তাগুলোর তেমন কোনো অর্থই ছিল না।

সহানুভূতিশীলতার চর্চা
এই সময়ে যতটা সম্ভব সহানুভূতি দেখান। কাউকে অর্থ দিয়ে সাহায্য করতে না পারলে তার খোঁজ নিন। কোথায় তিনি সাহায্য পেতে পারেন, সে বিষয়ে তাকে পথ দেখান।

নিজকে আড়াল করুন
করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে গিয়ে গৃহবন্দী জীবন ও মাত্রাতিরিক্ত নেতিবাচক সংবাদ আমাদের অন্য কোনো দূরপ্রসারী মানসিক রোগের দিকে ঠেলে দিচ্ছে কি না, সেটাও কিন্তু দেখার বিষয়। দুশ্চিন্তা থেকে উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে। হতে পারে ‘প্যানিক ডিসঅর্ডার’ এমনকি যাদের ‘অবসেসিভ কমপালসিভ ডিসঅর্ডার’ আছে, তাদের এই সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে।

শিশুদের জন্য এই স্টেট অব ফিয়ার মানসিক ট্রমা সৃষ্টি করতে পারে, যা মেধার বিকাশের পথে অন্তরায়। বিজ্ঞানভিত্তিক উপায়েই আমাদের একে মোকাবিলা করতে হবে। নেতিবাচক সংবাদ থেকে নিজেকে যতটা পারুন আড়াল করুন। দূরে রাখুন।

শরীর চর্চা
যোগাসনের পাশাপাশি মাইন্ডফুলনেস বা মনোযোগিতার চর্চাও করতে পারেন, যা আপনাকে বর্তমান সময়ের ব্যাপারে সচেতন ও সজাগ থাকতে সাহায্য করবে। এতে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী থাকবে।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on: