ত্রাণ চোরদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য ডিপজলের

মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনায় স্থবির গোটা বিশ্ব। সে সঙ্গে বাংলাদেশেও হানা দিয়েছে এ ভাইরাস। গত ৮ মার্চ প্রথম ২ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলে দেশে। এর পর থেকে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। একই সঙ্গে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও।

করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই লকডাউনে পুরো বাংলাদেশ। ফলে কর্মহীন হয়ে পড়েছে অসংখ্য নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ। এখন পর্যন্ত এই রোগের কোন প্রতিষেধক আবিষ্কার না হওয়ায় সবাইকে ঘরে থাকতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এতেই বিপাকে পড়েছেন তারা।

এদিকে তিন বেলা খাবার যোগাড় করতে এরই মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ শুরু করেছে অসহায় মানুষ। তবে দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে যাতে অভুক্ত থাকতে না হয়, সে জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা করেছে সরকার। ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি করছে টিসিবি।

এরই মধ্যে ত্রাণসামগ্রী চুরি করলে কঠোর হাতে দমন করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কঠোর হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও দেশের বিভিন্ন স্থানে ত্রাণ চুরির খবর পত্রপত্রিকায় উঠে আসছে নিয়মিত। ত্রাণ চুরি ধরা পড়ায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অনেককে বরখাস্ত করেছে সরকার।

তবে সম্প্রতি ত্রাণ চুরির খবর পড়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। তিনি বলেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করোনার সময় যে ত্রাণগুলো দিচ্ছেন, তা সাধারণ মানুষের হক। যারা অসহায় মানুষের এই হক মেরে খাচ্ছে, তারা জালেম। আর জালেমদের আল্লাহ কখনোই মাফ করবেন না। পরকালে তো শাস্তি পাবেই, এই দুনিয়াতেও তারা ক্ষমা পাবে না।

ডিপজল আরো বলেন, চুরি তো সারা বছরই করে, তবে এই সময় মানুষ চুরি করবে, এটা চিন্তাও করা যায় না। এখন মানুষ এত বিপদে আছে, যারা কোনোদিন চিন্তাও করেনি মানুষের কাছে হাত পেতে খেতে হবে, তারাও আজ সাহায্যের জন্য অপেক্ষায় থাকে। কারো কাছে চাইতে লজ্জা পায়। মাথা নিচু করে কোনোমতে ত্রাণ নিয়ে চলে যায়।

আরেকটা শ্রেণি আছে যারা দিনমজুরি করে, তাদের তো হাতে টাকা থাকার কথা না। কোথাও কোনো কাজ নাই, কেউ ঘর থেকে বের হতে পারছে না। কেউ নিজের বাসাবাড়িতে কাজের বুয়া পর্যন্ত রাখছে না। আর ত্রাণগুলো যদি মানুষ না পায়, তবে তো মানুষ না খেয়ে মরবে বলে মন্তব্য করেন ডিপজল।

ডিপজল বলেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে ত্রাণ সাধারণ মানুষের জন্য দিয়েছেন, তা সহিসালামতে মানুষের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া উচিত। সামর্থ্য থাকলে বরং নিজের হাত থেকে আরো কিছু বাড়িয়ে দেওয়া উচিত।

এদিকে গত সপ্তাহের শেষের দিকে ৫০০ শিল্পী ও কলাকুশলীর জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠিয়েছেন ডিপজল।

 

টাইমস/জেকে

Share this news on:

সর্বশেষ