বর্তমান সময়ে মোবাইল প্রযুক্তি বা স্মার্টফোন আমাদের সবার জীবনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে গেছে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, একজন ব্যক্তি প্রতিদিন গড়ে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা নানাভাবে স্মার্টফোন ব্যবহার করেন।
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে মানুষের ঘরে থাকার সময় বৃদ্ধি পেয়েছে, ফলে স্মার্টফোন ব্যবহারের মাত্রাও ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ‘স্মার্টফোন পিংকি সিন্ড্রোম’ নামক আঙ্গুলের বিকৃতির সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
দীর্ঘক্ষণ হাতে স্মার্টফোন ধরে রাখলে এর ওজনের কারণে হাতের আঙ্গুল কিছুটা বেকে যেতে পারে, যা স্মার্টফোন পিংকি সিন্ড্রোম বলে পরিচিত।
নিয়মিত ফোন ঘাটলে, বিশেষত বার্তা বা ইমেল টাইপ করার জন্য বড় স্মার্টফোন ব্যবহার করলে হাতের বুড়ো আঙ্গুলসহ অন্যান্য আঙ্গুলে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়। স্বল্পমেয়াদে এটি আঙ্গুলের চারপাশে ছোট ছোট জোড়গুলির হাইপারমোবিলিটি সৃষ্টি করে; বুড়ো আঙ্গুলের লিগামেন্টগুলিতে ধীরে ধীরে চাপ বাড়াতে থাকে।
দীর্ঘদিন ধরে আঙ্গুলের পুনরাবৃত্তিমূলক অতিরিক্ত ব্যবহার অস্টিওআর্থারাইটিসের কারণ হতে পারে। কারণ, অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে আঙ্গুলের জয়েন্টের মধ্যকার তরল পদার্থ বা কারটিলেজ হ্রাস পেতে শুরু করে।
আঙ্গুলে আর্থ্রাইটিস দেখা দিলে জয়েন্ট সমূহের চারপাশে অতিরিক্ত হাড় গঠনের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, যা থেকে আঙুলের বিকৃতি ঘটতে পারে বা স্মার্টফোন পিংকি সিন্ড্রোম দেখা দেয়।
তবে, এটি স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর কিছু নয়। এছাড়াও আরও অনেক কারণ রয়েছে, যা আঙ্গুল বিকৃতিকে প্রভাবিত করতে পারে। ডায়েট, পারিবারিক ইতিহাস, অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্য সমস্যা প্রভৃতির কারণেও এটি হতে পারে।
স্মার্টফোন পিংকি সিন্ড্রোম থেকে বেঁচে থাকার জন্য কিছু পরামর্শ
এসব পরামর্শ আপনাকে সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করবে। তবে এতেও সমাধান না হলে চিকিৎসা সহায়তা নিতে হবে। তথ্যসূত্র: দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
টাইমস/এনজে/জিএস