অতিক্ষুদ্র করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে বিশ্ববাসী যখন দিশেহারা, ঠিক সেই সময়ই কেটে গেল বড় এক ফাঁড়া। পৃথিবীর অনেকটা গা ঘেঁষেই ঘণ্টায় ১৯ হাজার ৪৬১ মাইল বেগে বেরিয়ে গেছে বিশাল এক গ্রহাণু।
বুধবার ভোর ৫টা ৫৬ নাগাদ পৃথিবী থেকে প্রায় ৬৩ লাখ কিলোমিটার (৩৯ লাখ মাইল) দূর দিয়ে চলে গেছে বিশাল গ্রহাণুটি। এর আকার প্রায় মাউন্ট এভারেস্টের সমান।
এই উল্কাপিণ্ডটি কোনোমতে পৃথিবীকে স্পর্শ করলেই গোটা মানবজাতি বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারত বলে জানিয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। নিরাপদ দূরত্ব দিয়ে চলে যাওয়ায় পৃথিবীতে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। তবুও ঘটনার সময় মহাকাশে সতর্ক নজর রেখেছিলেন তারা।
নাসা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালে নাসার জেট প্রোপালসন ল্যাবরেটরি প্রথমবারের মতো গ্রহাণুটি খুঁজে পাওয়ায় এর নাম দেয়া হয় ১৯৯৮ ওআর২। সম্প্রতি অবজারভেটরিতে ধরা পড়া এর একটি ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে গ্রহাণুটি দেখতে অনেকটা ‘মাস্কের মতো’ দেখতে। এর কোড নাম ৫২৭৬৮ এবং এটি এর আগে ১৯৯৮ সালে দেখা গিয়েছিল।
মহাকাশবিদরা জানিয়েছেন, ভৌগলিক বৈশিষ্ট্যের কারণেই গ্রহাণুটিকে এমন দেখা গেছে। প্রকৃতপক্ষে সেটি অসংখ্য পাহাড়-পর্বতে ভরা। এ জন্যই তার এমন চেহারা তৈরি হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, অন্তত ২০৭৯ সাল পর্যন্ত গ্রহাণুটি নিয়ে মানুষের চিন্তার কিছু নেই। কারণ, এর আগে সেটি আর পৃথিবীর ধারে কাছে ঘেঁষবে না। আর ২০৭৯ সালের দিকে আসলেও পৃথিবী থেকে চাঁদের প্রায় চারগুণ দূরত্ব দিয়ে চলে যাবে সেটি।
টাইমস/জিএস