পেশাভিত্তিক খাত হিসেবে দেশে এখন পর্যন্ত পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা বেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়ে এরই মধ্যে মারাও গেছেন। তাই এবার পুলিশ বাহিনীর জন্য করোনার চিকিৎসায় স্বতন্ত্র বা পৃথক একটি হাসপাতাল নির্দিষ্ট করা হয়েছে।
আগামীকাল শনিবার থেকে রাজধানীর তেজগাঁও এলাকার বেসরকারি ইমপালস হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা দেয়া হবে। কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের পরিচালক ডিআইজি হাসানুল হায়দার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৩০০ জনই পুলিশ সদস্য। আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ্য হয়েছেন ৯৩ জন এবং মারা গেছেন ছয়জন।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা মহানগরীতেই ৬৬৬ জন পুলিশ সদস্যের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের বেশিরভাগই ঢাকার রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর বাইরে রাজশাহীর বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালেও আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
পুলিশের চিকিৎসায় স্বতন্ত্র হাসপাতাল নির্ধারণের বিষয়ে পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, পুলিশ সদস্যদের আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। এ অবস্থায় হাসপাতালে জায়গা না হওয়ায় হোটেলসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশ সদস্যদের কোয়ারেন্টিনে রাখতে হচ্ছে। কোনো হাসপাতালে নির্দিষ্টভাবে পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার ব্যবস্থা না থাকায় ইমপালস হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে।
এব্যাপারে ইমপালস হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী অধ্যাপক খাদিজা আকতার ঝুমা জানান, তারা দুই মাসের জন্য পুলিশের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। চিকিৎসা দেয়ার ক্ষেত্রে ইমপালস হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সরা প্রস্তুত রয়েছে।
টাইমস/এসএন