কোভিড-১৯ এর রেপিড টেস্টে ফলাফল ভুল হতে পারে

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া কোভিড-১৯ রোগটি নির্ণয় করার জটিলতা, খরচ আর কিট সংকটের কারণে অনেক দেশেই পর্যাপ্ত পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে অনেক সংক্রমিত ব্যক্তিকে শনাক্ত করাই কঠিন হয়ে পড়ছে, চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে মহামারীর ক্ষয়ক্ষতি সীমিত করা। এই অবস্থায় কোভিড-১৯ অ্যান্টিজেন টেস্ট সস্তা ও দ্রুত করাই বিকল্প হতে পারে বলে মনে করছেন অনেক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সস্তা ও সহজে ব্যবহারযোগ্য এই পরীক্ষায় সব সময় নিশ্চিত ফলাফল পাওয়া সম্ভব নাও হতে পারে। এমনকি রেপিড পদ্ধতিতে পরীক্ষার ফলে ১০টির মধ্যে ৪টিতে ফলাফল ভুল হতে পারে।

তবে এই পদ্ধতির উদ্ভাবকেরা বলছেন, এটি বিপর্যয়ের পরিস্থিতিতে প্রাথমিকভাবে সন্দেহভাজনদের চিহ্নিত করতে এবং আরও সংবেদনশীল পরীক্ষাগারে পরীক্ষার জন্য দুর্লভ সংস্থান সংরক্ষণ করতে সহায়তা করতে পারে।

বিশ্বজুড়ে রেপিড টেস্টিং কিট নিয়ে চলতে থাকা নানা তর্ক-বিতর্কের মধ্যেই সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন প্রথমবারের মতো জরুরি অবস্থায় অ্যান্টিজেন টেস্ট পদ্ধতি ব্যবহারের অনুমোদন করেছে। এটি প্রথাগত পিসিআর টেস্ট পদ্ধতি থেকে ভিন্ন এবং এই পদ্ধতিতে খুব কম খরচে দ্রুত পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া সম্ভব। কোভিড-১৯ মহামারী ঠেকাতে এই রেপিড টেস্টিং পদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে সংস্থাটির পক্ষ থেকে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।

সহজেই ব্যবহারযোগ্য এসব টেস্টিং পদ্ধতিতে কোনো পরীক্ষাগারে নমুনা পাঠানোর প্রয়োজন পড়ে না এবং মাত্র ৩০ মিনিটেরও কম সময়ে ফলাফল পাওয়া যায়। পরীক্ষাটি একটি একরঙা অ্যান্টিবডি এর উপর ভিত্তি করে করা হয়, যা ভাইরাল অ্যান্টিজেনের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে এবং এটি ভাইরাস পৃষ্ঠের প্রোটিনের বৈশিষ্ট্যযুক্ত অংশ।

এ বিষয়ে ইউনিভার্সিটি দে ব্রুক্সেলেসের প্রফেসর ওলিভার ভেনডেনবার্গ বলেন, “স্বাস্থ্য সেবাকে এই পদ্ধতি কিভাবে প্রভাবিত করবে এবং কোন জনগোষ্ঠী এর থেকে উপকৃত হবে তা এখন আমরা নির্ণয়ের চেষ্টা করছি। এখন পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গবেষণার কাজে এটি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে।” ৮ই এপ্রিল জারি করা পরামর্শে, নীতিগতভাবে এই ধরনের টেস্টের ব্যবহারকে সমর্থন জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লুএইচও)।

সংস্থাটির মতে, যেসব অ্যান্টিজেন শনাক্তকরণ পরীক্ষা পদ্ধতি এখনও বিকাশমান রয়েছে সেগুলি যদি তাদের কার্যকারিতা প্রমাণ করতে সক্ষম হয় তাহলে জরুরি পরিস্থিতিতে প্রাথমিকভাবে রোগী শনাক্ত করণের কাজে এগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে এবং এর মধ্য দিয়ে ব্যয়বহুল ল্যাব নির্ভর পরীক্ষার খরচ কমানোও সম্ভব হবে। তথ্যসূত্র: মেডিক্যাল নিউজ টুডে, এফডিএ ও রয়টার্স

 

টাইমস/এনজে/জিএস

Share this news on:

সর্বশেষ