‘এতদিন যদি আল্লাহকে ডাকতাম সাড়া দিতেন, তুমি দিলে না’

যশোরের মনিরামপুরে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। ম্যাসেঞ্জারে এমনি কুরুচিপূর্ণ বার্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের প্রেম নিবেদন করে আসছেন প্রধান শিক্ষক হায়দার আলী। ‘জান আই লাভ ইউ। আমাকে কষ্ট দিও না। আই মিস ইউ। তুমি কি সত্যি আমাকে একটুও ভালবাসোনা, এতদিন যদি আল্লাহকে ডাকতাম তবে তিনি সাড়া দিতেন। কিন্তু তুমি সাড়া দিলে না’ এমন এসএমএস দিতেন ওই শিক্ষক। ওই শিক্ষকের আপত্তিকর কথাবার্তার কয়েকটি স্ক্রীনশর্ট ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর থেকে বিপাকে পড়েছেন তিনি।

জানা গেছে, যশোরের মনিরামপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হায়দার আলী নিজের ব্যবহৃত ফেসবুক আইডির ম্যাসেঞ্জার থেকে একাধিক শিক্ষার্থীকে তাদের ব্যবহৃত ম্যাসেঞ্জারে আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার করে বার্তা দিয়েছেন। সম্প্রতি এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে বিদায় নেয়া এক ছাত্রীর সাথে এমন আপত্তিকর বার্তা দেয়ায় সে এটি ফাঁস করে দেয়। সোমবার প্রধান শিক্ষকের এহেন কর্মকান্ডের বিচার চেয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি ইউএনও আহসান উল্লাহ শরিফীর কাছে ভুক্তভোগী দুই ছাত্রী লিখিত আবেদনপত্র দিয়েছে।

তবে নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক হায়দার আলীর দাবি, কয়েকদিন ধরে তার ব্যবহৃত আইডিতে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাকে ফাঁসানোর জন্য একটি চক্র আইডি হ্যাক করে এসব কাজ করেছে।

এদিকে গত রোববার রাত থেকে ছাত্রীদের সাথে ম্যাসেঞ্জারে প্রধান শিক্ষক হায়দার আলীর আপত্তিকর কথাবার্তার কয়েকটি স্ক্রীনশর্ট চিত্র ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর থেকে সর্বমহলে প্রধান শিক্ষকের অপসারণসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি ওঠেছে। এমনকি তার এমন আচরণে ক্ষুব্ধ অভিভাবকরাও।

প্রধান শিক্ষক নিজের ভ্যারিফাইড আইডি থেকে প্রতিষ্ঠানের ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত কয়েকজন ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। এছাড়া তিনি ম্যাসেঞ্জারে আপত্তিকর ভাষাও ব্যবহার করেন। স্কুল থেকে বিদায় নেওয়া শিক্ষার্থীরাও তার হাত থেকে রেহায় পচ্ছেনা।

এদিকে তদন্ত টিম গঠন করে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে উল্লেখ করেন মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ শরিফী।

টাইমস/জেকে

Share this news on:

সর্বশেষ