করোনা ঝুঁকি এড়াতে মাস্ক পরে ব্যায়াম নয়

বিশ্বজুড়ে প্রলয় সৃষ্টি করেছে আণুবীক্ষণিক জীব নোভেল করোনাভাইরাস। গুঁড়িয়ে দিচ্ছে মানবজাতির সভ্যতা ও বিজ্ঞানের দম্ভ। কোনো ওষুধ নেই, প্রতিষেধক নেই। শুধুই মৃত্যুর অপেক্ষা। এই অবস্থায় গোটা পৃথিবীতেই মানুষ সংক্রমণের হাত থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য নানা সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করছেন।

করোনা ঠেকাতে মুখে মাস্ক পরে বেরোনো এখন দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই মাস্ক নিয়ে আবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন- শরীরচর্চা বা জগিং, ভারি কাজ করা কিংবা গাড়ি চালানো সময় মুখে মাস্ক পরা ঝুঁকিপূর্ণ। করোনার সংক্রমণ রুখতে মাস্ক যত কার্যকরই হোক; অন্তত ব্যায়াম বা অন্য কোনো শারীরিক কসরত করার সময় মাস্ক পরা থেকে দূরে থাকতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

চিকিৎসকরা মনে করেন, করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে নিশ্চয়ই মাস্ক পরতে হবে। তবে ফাঁকা জায়গায় একা ভারী কাজকর্ম বা শরীরচর্চা করার সময় মাস্ক না পরাই ভালো। আর যখন একাধিক মানুষের পাশাপাশি ব্যায়াম করা হয়, তখন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলে মাস্ক পরার দরকার নেই।

যাদের ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ বা সিওপিডি আছে, হাঁপানির সমস্যা কিংবা আইএলডির মতো ক্রনিক ফুসফুসের অসুখ আছে তারা শরীরচর্চা ও ভারী কাজের সময় মাস্ক পরে থাকলে যেকোনো সময় ঝুঁকির সৃষ্টি হতে পারে।

ব্যায়াম বা যেকোনো শারীরিক কসরত করার সময় আমাদের ফুসফুস বেশি বাতাস টানে, এসময় ফুসফুসের অনেক পরিশ্রম হয়। মুখে মাস্ক থাকলে ফুসফুসে বাতাস ঢোকার পথে বাধার সৃষ্টি হয়। যার ফলে অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়তে হয়। তাছাড়া একটানা অনেকক্ষণ মাস্ক পরে থাকলে তা ঘামে ভিজে গিয়ে একটা অস্বস্তিকর অবস্থা তৈরি হয়।

এছাড়া গাড়ি চালানোর সময় চালকদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। এন-৯৫ বা টাইট মাস্ক পরে গাড়ি চালানোর সময়ও নানা সমস্যা হতে পারে। মাস্কের কারণে শরীরে একদিকে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার পাশাপাশি কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে গিয়ে মস্তিষ্ক কিছুটা নিস্তেজ হয়ে পড়ে।

এতে করে সতর্কতা ও ক্ষিপ্রতা কমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। আবার অনেক সময় মাস্ক থেকে শ্বাস-প্রশ্বাসের বাষ্প বেরিয়ে চশমার কাঁচ ঝাপসা করে দিতে পারে, তাতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। তবে গাড়িতে অন্য কেউ থাকলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। তখন অধিকতর সাবধানে চালাতে হবে গাড়ি।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on: