দিন যত যাচ্ছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রকোপ ততোই বাড়ছে। যার কোনো ওষুধ নেই, প্রতিষেধক নেই। বিজ্ঞানীরা ওষুধ বা ভ্যাকসিন তৈরি করতে উঠেপড়ে কাজ করছেন। বর্তমানে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানোর একটি জনপ্রিয় ব্যবস্থা হচ্ছে মাস্ক ব্যবহার। ফলে বিশ্বজুড়ে বেড়েছে মাস্কের চাহিদা।
এমন পরিস্থিতিতে সেন্ট্রাল তুরস্কের আকসারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই চিকিৎসক তৈরি করলেন ইলেকট্রনিক মাস্ক। তাদের দাবি, এ মাস্ক পরা থাকলে করোনা আক্রান্ত রোগীর শ্বাসযন্ত্র, হাঁচি-কাশির মাধ্যমেও জীবাণু ছড়াতে পারবে না। কারণ, এই মাস্কে জীবাণু মারতে সক্ষম আলট্রভায়োলেট রশ্মি ও ইলেকট্রিক্যাল সিলভার বেস ব্যবহার করা হয়েছে। তুর্কি সংবাদ মাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে।
সেন্ট্রাল তুরস্কের আকসারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন ডাক্তার তাদের চলমান প্রজেক্টের অংশ হিসেবে এ মাস্ক তৈরি করেছেন। তাদের একজন ডাক্তার তারিক ইলমাজ এবং অপরজন ডাক্তার ইমরে আর্সলান।
ডাক্তার তারিক ইলমাজ বলেন, “প্রথমে আমরা বহনযোগ্য ও নিজে নিজেই জীবাণুমুক্ত হতে পারে এমন মাস্ক তৈরি করার চেষ্টা করেছি। এরপর আমরা জীবাণু ও ভাইরাস ধ্বংস করতে পারে এমন মাস্ক তৈরির পরিকল্পনা নেই।”
তিনি আরও বলেন, “১৯০০ সাল থেকে গবেষণায় দেখা গেছে, আলট্রাভায়োলেট রশ্মি ভাইরাস মারতে পারে। মাস্কে এ আলট্রাভায়োলেট রশ্মি যুক্ত ও কার্যকর করাটা ছিল চ্যালেঞ্জিং। বেশ সময়ও লেগেছে। অবশেষে মাস্কে আমরা এ প্রযুক্তি যুক্ত করতে সক্ষম হয়েছি।”
অপর চিকিৎসক ডাক্তার ইমরে আর্সলান বলেন, মাস্কের মধ্যে আমরা একটা ফিল্টার তৈরি করেছি যেটা আলট্রাভায়োলেট রশ্মি দিয়ে জীবাণু ও ভাইরাস ধ্বংস করে পরিষ্কার থাকবে। ফিল্টারে কোনো ভাইরাস ধরা পড়লে সেটাকে ধ্বংস করবে। এটা মূলত পাওয়ার ব্যাংক থেকে শক্তি নেবে। আর সেটার মাধ্যমে টানা ১২ ঘণ্টা চলবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা এই মাস্কের মেধাস্বত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করেছি। সেটা পেয়ে গেলেই আমরা এটা উন্মুক্ত করব।
টাইমস/জিএস