করোনাভাইরাস ঠেকাতে ঘরের বাইরে মাস্ক পরা এবং স্বাস্থ্যবিধি মানা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কোনো ব্যক্তি এই আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে সংক্রমণ আইন–২০১৮ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা শনিবার এ নির্দেশনা জারি করেন।
নতুন এই ঘোষণায় মাস্ক না পরে বা অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বাইরে চলাচল করলে ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানা করা যাবে। অবশ্য ঘোষণায়, এই আইন জেলা প্রশাসক ও যথাযথ কর্তৃপক্ষকে সতর্কতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সর্বশেষ ৬ মে একটি নির্দেশনা জারি করে। সেই নির্দেশনায় এই পরিবর্তনগুলো যুক্ত করা হয়েছে। নতুন ঘোষণায় বলা হয়েছে, আইন অমান্যকারীদের সংক্রমণ আইনের ২৪ (১,২), ২৫ (১ এর ক,খ) এবং ২৫ (২) ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এছাড়া নির্দেশনায় রাত আটটা থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত অতিপ্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়ার ব্যাপারেও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন ২৪(১)-এ বলা আছে, যদি কোনো ব্যক্তি সংক্রামক জীবাণুর বিস্তার ঘটান বা বিস্তার ঘটিতে সহায়তা করেন, বা জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও অপর কোনো ব্যক্তি সংক্রমিত ব্যক্তি বা স্থাপনার সংস্পর্শে আসিবার সময় সংক্রমণের ঝুঁকির বিষয়টি তাহার কাছে গোপন করেন তাহলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হবে একটি অপরাধ।
২৪ (২) বলা আছে, যদি কোনো ব্যক্তি উপধারা (১)-এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহলে তিনি অনূর্ধ্ব ৬ (ছয়) মাস কারাদণ্ডে, বা অনূর্ধ্ব ১ (এক) লাখ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
একই আইনের ২৫(১)(ক, খ) এ বলা আছে- মহাপরিচালক, সিভিল সার্জন বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তার ওপর অর্পিত কোনো দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে বাধা প্রদান বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন এবং সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূলের উদ্দেশ্যে মহাপরিচালক, সিভিল সার্জন বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কোনো নির্দেশ পালনে অসম্মতি জ্ঞাপন করেন, তাহলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ।
২৫(২) তে বলা আছে, যদি কোনো ব্যক্তি উপধারা (১)-এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহলে তিনি অনূর্ধ্ব ৩ (তিন) মাস কারাদণ্ডে, বা অনূর্ধ্ব ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
টাইমস/জিএস