মায়ের কাছে বায়না ছিল পাঁচ টাকার। তা না পেয়ে হাতে থাকা হাসুয়া দিয়ে মা ফাতেমা-তুজ-জোহরার (২৮) বুকে আচমকা কোপ দেয় ছয় বছরের অবুঝ শিশু ফাহিম। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজশাহীর পবা উপজেলার বেড়পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফাতেমা-তুজ-জোহরা ওই এলাকার রবিউল ইসলামের স্ত্রী এবং রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বিদিরপুর গ্রামের কাজিম উদ্দিনের মেয়ে।
নিহতের স্বামী রবিউল ইসলামের বরাত দিয়ে দামকুড়া থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম জানান, তার ছয় বছর বয়সী ছোট শিশু খেলছিল। এসময় সে পাঁচ টাকার বায়না করে। টাকা না দিতে চাওয়ায় সে হঠাৎ করে মায়ের বুকে হাসুয়া দিয়ে কোপ দেয়। এতে মারাত্মক আহত হন তার মা। মায়ের রক্ত ও যন্ত্রণায় গড়াগড়ি যেতে দেখে শিশুটি আতঙ্কে পালিয়ে পাশেই তার ফুফুর বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। পরে পরিবারের লোকজন দ্রুত মা জোহরাকে নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যায়। তবে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরও বলেন, ঘটনার পর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যদের আসার জন্য খবর দেওয়া হয়েছে। ওই শিশু বুঝতে না পেরে এমন ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছে। এখন পরিবারের সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিহতের মরদেহ রামেক হাসপাতালের হিমঘরে রাখা আছে। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
টাইমস/এইচইউ