তাইরিনা সাবরিন তোরা। ফল বিক্রেতার এই মেধাবী মেয়ে এবার এসএসসি পরীক্ষায় ১৩শ' নম্বরের মধ্যে ১২৬৭ নম্বর পেয়ে তাক লাগানো সাফল্য দেখিয়েছেন। তবুও তার পড়াশোনা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন বাবা। ফল বিক্রির আয়ে কোনমতে সংসার চলে তার। মেয়ের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার সামর্থ তার নেই। এবার সেই ফল বিক্রেতা বাবার চিন্তা দূর করেছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। পড়াশোনার যাবতীয় দায়িত্ব নিলেন তিনি।
জানা গেছে, বগুড়ার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে ১৩০০ নম্বরের মধ্যে ১ হাজার ২৬৬ নম্বর পেয়ে জেলা পর্যায়ে মেধা তালিকায় প্রথম হয়েছেন তাইরিনা সাবরিন তোরা। বাবা তোফায়েল আহমেদ বগুড়া শহরের ফুটপাতে ফল বিক্রি করে জীবিকা চালান। পরিবারের দারিদ্র্যের কারণে তাক লাগানো ফল করেও ভালো কলেজে ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ খবর পেয়ে তাইরিনার পড়াশোনার দায়িত্ব নেওয়ার কথা তার পরিবারকে জানান বগুড়ার সন্তান মুশফিকুর রহিম। প্রথম ধাপে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে কলেজে ভর্তি, পোশাক ও বই কেনার জন্য নগদ ২০ হাজার টাকা পাঠান মুশফিক। শনিবার মুশফিকুর রহিমের পক্ষ থেকে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সামির হোসেন এই অর্থ তাইরিনার হাতে তুলে দেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুন জানান, মুশফিকুর রহিম ভর্তি ছাড়াও বই-খাতা কেনার জন্য ২০ হাজার টাকা তাইরিনার হাতে তুলে দিয়েছেন। প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকার বৃত্তি ওর ব্যাংক হিসাব নম্বরের মাধ্যমে দেবেন মুশফিক। মেয়েটা যত দিন পড়াশোনা করতে চায় তত দিন ওর পাশে থাকবেন বলে জানিয়েছেন বগুড়ার কৃতি সন্তান মুশফিক।
তাইরিনা সাবরিনের স্বপ্ন বিসিএস ক্যাডার হওয়ার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষে ম্যাজিস্ট্রেট হতে চায় এই অদম্য মেধাবী।
টাইমস/জেকে