ইসরাইলের আতঙ্ক ‘লিভিং ঈগল’ সাইফুল আজম আর নেই

‘লিভিং ঈগল’ খ্যাত বিমান বাহিনীর সাবেক দুধ্বর্ষ পাইলট ও পাবনা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুল আজম মৃত্যুবরণ করেছেন।

রোববার ঢাকার মহাখালী ডিএসএইচও’র নিজ বাস ভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি নানারকম জটিল রোগে ভুগছিলেন। সোমবার বাদ জোহর বিমান বাহিনী হ্যাঙ্গারে জানাজা শেষে তাকে বিমান বাহিনীর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

জানা গেছে, ১৯৬৭ সালের ইরাক যুদ্ধে অংশ নেন সাইফুল আজম। ওই যুদ্ধে একটি ইসরাইলি বিমান ভূপাতিত করেন এবং আরেকটিকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে সক্ষম হন তিনি। ওই যুদ্ধে ইরাকি ফাইটার জেট আকাশে উড়া মানেই যেন ইসরাইলের সাইফুল আজম আতঙ্কে পেয়ে বসতো। সাইফুল আজমের নিখুঁত নিশানাকে বড্ড ভয় পেতো ইসরাইল। এ কারণে সাইফুল আজমকে বিমান বাহিনীর ‘লিভিং ঈগল’ উপাধীতে ভূষিত করা হয়।

এছাড়া ১৯৬১ সালের এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষণ নেয়ার পর মার্কিন বিমান বাহিনী সাইফুল আজমকে ‘টপ গান’ উপাধি দেয়।

এদিকে দুঃসাহসিক বৈমানিক সাইফুল আজমের মৃত্যুতে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (ক্যাব) শোক প্রকাশ করেছে। এক শোকবার্তায় সংস্থাটি জানায়, সাইফুল আজম ১৯৮২ থেকে ১৯৮৪ এবং ১৯৮৭ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত ক্যাবের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন।

সাইফুল আজম ১৯৪১ সালে পাবনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬০ সালে পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে যোগদান করেন। পরে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করলে ১৯৭১ সাল থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে ইসরায়েলের তিনটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেন, যা এখন পর্যন্ত কোনো পাইলটের জন্য সর্বোচ্চ কৃতিত্ব। এছাড়া পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে কাজ করার সময় ১৯৬৫ সালে ইন্দো-পাক যুদ্ধে ভারতের যুদ্ধবিমানও ধ্বংস করেন তিনি।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on: