মঙ্গলবার থেকে যশোরের ১৯ ‘রেড জোন’ এলাকায় লকডাউন

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেশি থাকায় যশোর জেলার ১৯টি স্থানকে রেড জোন ঘোষণা করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এর মধ্যে ছয় পৌরসভার ১১টি ওয়ার্ড ও তিন উপজেলার ৬ ইউনিয়ন রয়েছে। এছাড়া দু’টি পৌরসভার চারটি ওয়ার্ড এবং সাত উপজেলার ১৩ ইউনিয়নকে ইয়েলো জোন ঘোষণা করা হয়েছে।

আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে রেড জোন চিহ্নিত এলাকায় লকডাউন শুরু হবে। সোমবার দুপুরে যশোর জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফের সভাপতিত্বে সভায় সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন, জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা লে.ক. নেয়ামুল, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেনসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, রেড জোন ঘোষিত এলাকার মধ্যে রয়েছে যশোর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড, আরবপুর ও উপশহর ইউনিয়ন, অভয়নগর পৌরসভার ২, ৪, ৫, ৬, ৯ নম্বর ওয়ার্ড এবং চলিশিয়া, পায়রা ও বাঘুটিয়া ইউনিয়ন। চৌগাছা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড, শার্শা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড এবং শার্শা সদর ইউনিয়ন, ঝিকরগাছা পৌরসভার ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড এবং কেশবপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড।

এছাড়া ইয়েলো জোনের মধ্যে রয়েছে যশোর পৌরসভার ৬, ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড, কাশিমপুর ও ফতেপুর ইউনিয়ন, মণিরামপুর উপজেলার খেদাপাড়া, ঝাঁপা ও কাশিমনগর ইউনিয়ন, অভয়নগর উপজেলার প্রেমবাগ, শ্রীধরপুর ও শুভরাঢ়া এবং পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড, ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী ও বাঁকড়া ইউনিয়ন, চৌগাছার স্বরূপদহ ইউনিয়ন, বাঘারপাড়ার বাসুয়াড়ী ইউনিয়ন এবং কেশবপুর উপজেলার কেশবপুর সদর ইউনিয়ন।

যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত এলাকা লকডাউন করা হবে। ১৬ জুন সকাল ৬টা থেকে এ ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে। সেক্ষেত্রে ওই এলাকার মানুষের চলাচল ও বাজার সীমাবদ্ধ এবং চাকরিজীবীরা বাড়িতে বসে কাজ করবে এবং জনপ্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী সরকারি চাকরিজীবীরা সাধারণ ছুটিতে থাকবেন।

তিনি আরও বলেন, উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন কমিটি স্ব স্ব এলাকায় লকডাউন বাস্তবায়ন করবে। একইসঙ্গে ইয়েলো জোনের নাগরিকদের জন্যে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ জানান, সভায় সিভিল সার্জন রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনের তালিকা উপস্থাপন করেন। তার উত্থাপিত তালিকার পরে আলোচনা এবং অনুমোদন করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্যে সিভিল সার্জনকে বলা হয়েছে।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: