উপকূলীয় মানুষের কান্না থামছেই না। একের পর এক বিপদ যেনো তাদেরকে পর্যদুস্ত করে ফেলছে। এর মধ্যে মৃত্যু যেনো মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘাঁ। জোয়ারের পানি এতটা বিপদ সীমানা অতিক্রম করছে মানুষের মৃত্যুর পর দাফন করার জায়গাও অনেকর ভাগ্যে জুটছে না! এই বিপদের মধ্যে রোববার (১৪ জুন) মৃত্যু হয় নবিরোননেছার। আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত পানি বন্দি সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের বাসিন্দা তিনি। তার মৃত্যুর পরে দাফন কোথায় করবে তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান স্বজনেরা। পারিবারিক কবর স্থান পানিতে ডুবে থাকায় অন্যত্রে দাফনের চিন্তা করে। সে অনুযায়ী গোসল দিয়ে কাফনের কাপড় পরিয়ে সন্তানেরা খাটিয়া করে নিয়ে যায়। সেখানেও পানি থাকায় ইট দিয়ে গেঁথে উঁচু করে কবরস্ত করা হয় নবিরোননেছাকে।
মৃতের বড় ছেলে আমজাদ হোসেন গাজী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বাংলাদেশ টাইমসকে বলেন, বার্ধক্যজনিত কারণে রোববার বিকেলে মৃত্যু হয় মা'র। কিন্তু জোয়ারের পানি থাকায় ওই দিন দাফন সম্ভব হয়নি। পরের দিন ভাটায় পানি কিছুটা নেমে গেলে ইট দিয়ে গেঁথে উঁচু করে কবর তৈরি করা হয়। এরপর কবরের ভেতরে বালি দিয়ে দাফন করা হয়। আমজাদ হোসেন আক্ষেপ করে বলেন মাটি না পাওয়ায় মায়ের কবরে একটু মাটিও দিতে পারেনি। তিনি এই দুরবস্থা থেকে মুক্তি পেতে সরকারের সু-দৃষ্টি কামনা করেন।"
টাইমস/এএম/টিএইচ