মাথার ত্বকে চুলকানি ঠেকানোর ঘরোয়া সমাধান সমস্যা

অনেক সময় আমরা আমাদের মাথার ত্বকে চুলকানি অনুভব করি। বিশেষ করে বর্ষাকালে এ ধরনের সমস্যা দেখা দেয়, আবার চুলকানির সাথে সাথে দেখা দেয় চুল পড়া সমস্যা।

অনেকগুলি কারণে এমনটা হতে পারে, যেমন- অ্যালার্জি, ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ, মানসিক চাপ-দুশ্চিন্তা, ফাঙ্গাল ইনফেকশন প্রভৃতি। তবে দুশ্চিন্তার খুব একটা কারণ নেই, ঘরোয়া উপায়ে প্রাকৃতিকভাবেই এই চুলকানি সমস্যা দূর করা যেতে পারে।

আসুন জেনে নিই, যেসব উপাদান ব্যবহার করে ঘরোয়াভাবে আপনি মাথার ত্বকের চুলকানি থেকে মুক্তি পেতে পারেন-

আপেল সিডার ভিনেগার
অ্যাপল সিডার ভিনেগার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান হিসেবে বেশ কার্যকর, এতে একই সাথে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। শুষ্ক ত্বকের কারণে সৃষ্ট চুলকানি কমাতে এটি সহায়তা করতে পারে। উষ্ণ জলে আপেল সিডার ভিনেগার মিশ্রিত করে খুশকি এবং চুলকানি উপশম করতে শ্যাম্পু করার পর এই মিশ্রণটি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

বিশুদ্ধ নারকেল তেল
বিশুদ্ধ নারকেল তেল বলতে প্রাকৃতিকভাবে পরিণত নারকেল থেকে ক্যামিক্যাল ছাড়া উৎপন্ন নারকেল তেল বোঝায়। এতে একটি বিশেষ স্যাচুরেটেড ফ্যাট (লৌরিক অ্যাসিড) থাকে, যাতে অ্যান্টিমাইক্রোবাইল গুণ রয়েছে। লৌরিক অ্যাসিড ত্বককে ভালোভাবে নারকেল তেল শোষণে সহায়তা করে। এটি মাথার চুলকানি চুলের দূর করতেও একটি জনপ্রিয় প্রাকৃতিক চিকিৎসা।

নারকেল তেল অ্যাকজিমাজনিত চুলকানি নিরাময়ের জন্য সহায়ক হতে পারে। এটি মাথা উকুনের বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সহায়ক। ২০১০-এর একটি গবেষণায় মৌরির সাথে মিশ্রিত নারকেল তেলের নিরাময় শক্তি বিশ্লেষণ করা হয়েছে। গবেষকরা এই সংমিশ্রণটি উকুনের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত ওষুধ পেরমেথ্রিনের চেয়ে মাথার চুলকানিগুলি নিরাময়ের ক্ষেত্রে আরও বেশি কার্যকর বলে মনে করেন।

পিপারমিন্ট যুক্ত তেল
পিপারমিন্ট যুক্ত তেল খুশকি কমাতে, মাথার ত্বককে প্রশান্ত করতে এবং চুলকানি উপশম করতে কার্যকর হতে পারে। এটি অন্য তেল, যেমন জলপাইয়ের তেলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহারের চেষ্টা করুন।

শ্যাম্পু করার আগে এটি মাথার ত্বকে হালকা করে ম্যাসেজ করুন। উত্তম ফলাফল পেতে শ্যাম্পু করার পরে ধুয়ে ফেলার সময় পিপারমিন্ট চা ব্যবহার করতে পারেন।

মেডিটেশন
মেডিটেশন উদ্বেগজনিত কারণে সৃষ্ট মাথার ত্বকের চুলকানি দূর করতে কার্যকর হতে পারে। এটি অ্যাকজিমার কারণে চুলকানিতেও সহায়তা করতে পারে। তবে অন্য কোনো প্রক্রিয়ার সাথে মেডিটেশন করলে সেটি বেশি কার্যকর হয়।

চা গাছের তেল
চা গাছের তেল বা টি ট্রি ওয়েলের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং এন্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এতে প্রদাহবিরোধী প্রভাবও রয়েছে। চা গাছের তেল ত্বকে জ্বালার সৃষ্টি করতে পারে, তাই এটি ব্যবহারের আগে অন্য তেলের সাথে মিশিয়ে নেয়া গুরুত্বপূর্ণ।

মৃদু শ্যাম্পুতে ১০ থেকে ২০ ফোঁটা চা গাছের তেল মিশিয়ে নিন, অথবা এটি জলপাইয়ের তেলের সাথে মিশিয়ে সরাসরি আপনার মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন। চা গাছের তেল খুশকি, সিবোরেহিক ডার্মাটাইটিস এবং মাথার উকুনের সাথে সম্পর্কিত চুলকানি কমাতে বা হ্রাস করতে সহায়তা করে। চা গাছের তেল কখনই খাওয়া উচিত নয়। তথ্যসূত্র: হেলথলাইন.কম

 

টাইমস/এনজে/জিএস

Share this news on: