খুলনায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজন এবং উপসর্গ নিয়ে দুই নারীসহ ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত খুলনার করোনা হাসপাতালে এবং খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের করোনা সাসপেক্টেড আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
খুলনা করোনা হাসপাতালের মুখপাত্র ডাক্তার ফরিদ উদ্দিন জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে গণেশ চন্দ্র বণিক (৫৩) নামে করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে তার মৃত্যু হয়। গণেশ চন্দ্র মহানগরীর বড় মির্জাপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।
এ নিয়ে খুলনায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলায় এখন করোনা রোগীর সংখ্যা ৮০৫।
অপরদিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ও করোনা ওয়ার্ডের মুখপাত্র ডা. মিজানুর রহমান জানান, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে ফিরোজ আহমেদ (৬৯) নামে একজন হাসপাতালের করোনা সাসপেক্টেড আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি মারা যান। মৃত ফিরোজ আহমেদ খুলনা মহানগরীর টুটপাড়ার মৃত মৌলভী আহমেদ হোসেনের ছেলে।
এছাড়া কার্ত্তিক (৪০) নামে এক যুবক বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌঁনে ৭টার দিকে খুমেক হাসপাতালের করোনা সাসপেক্টেড আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে তিনি মারা যান। মৃত কার্ত্তিক নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার পুরুলিয়া গ্রামের মৃত নিতাইয়ের ছেলে।
অপরদিকে, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে জামসেদ আলম (৬০) নামে একজন শুক্রবার দুপুর সোয় ২টার দিকে করোনা সাসপেক্টেড আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে তিনি মারা যান। মৃত জামসেদ আলম খুলনা মহানগরীর ৫ নম্বর ঘাট এলাকার মো. আহমদের ছেলে।
এছাড়া জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে রুমা বেগম (৩৫) নামে এক নারী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌঁনে ৭টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা সাসপেক্টেড আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে মারা যান তিনি। মৃত রুমা খাতুন যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার বাবুল ফারাজীর স্ত্রী।
এদিকে, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে নাসিম আহমেদ (৬০) দুপুর ৩টায় খুমেক হাসপাতালের করোনা সাসপেক্টেড আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল পৌঁনে ৪টার দিকে মারা যান তিনি। মৃত নাসিম আহমেদ নগরীর মহম্মদনগর এলাকার মফিজউদ্দিন আহমেদের ছেলে।
এর আগে শুক্রবার সকালে জরিনা বেগম (৬০) নামে এক নারী এবং মো. আলী (৬০) নামে অপর আরেকজন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা সাসপেক্টেড আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার জন্য তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে ডা. মিজানুর রহমান জানান। শুক্রবার পর্যন্ত খুলনায় করোনা উপসর্গ নিয়ে ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
টাইমস/এইচইউ