পরিস্থিতি বুঝে এইচএসসি পরীক্ষা -শিক্ষামন্ত্রী

উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হলেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা (এইচএসসি) নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি আরও বলেছেন, এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার জন্য সরকার সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছে।

শিক্ষামন্ত্রী তার বক্তব্যে করোনাকালে অনলাইন শিক্ষা সহজলভ্য করতে মোবাইল ও ইন্টারনেটের ওপর প্রস্তাবিত শুল্ক প্রত্যাহারেরও প্রস্তাব করেন।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২০-২১ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি বলেন, বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া ঠিক হবে না।

এসময় তিনি আসন্ন বাজেটে শিক্ষা খাতের বরাদ্দ বাস্তবায়নের সক্ষমতা বৃদ্ধি, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং অপচয় রোধে আরও কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার অঙ্গীকার করেন।

বাজেট আলোচনায় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনা সংকটকালে অনলাইন ও টেলিভিশনের মাধ্যমে পাঠদান অব্যাহত রাখা হয়েছে। টেলিভিশনের মাধ্যমে শতকরা প্রায় ৯২ শতাংশ শিক্ষার্থীর কাছে আমরা পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছি। অনলাইনে পাঠদানে আজ নতুন একটি প্লাটফর্ম চালু করা সম্ভব হয়েছে। সব বিশ্ববিদ্যালয়ে এটির ব্যবহার ব্যাপক ভাবে শুরু হয়েছে।

এসময় তিনি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, এরকম সময়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা থাকলেও আসুন সবাই এই সময়টাকে কাজে লাগাই। পাবিবারিক বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করি। নতুন দক্ষতা অর্জন করার চেষ্টা করি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবার প্রতি মানবিক আচরণ করি।

কালো টাকা সাদা করার প্রসঙ্গে দীপু মনি বলেন, এটি অর্থনৈতিকভাবে তেমন ফলদায়ক নয়। এই সুযোগ রাজনৈতিকভাবে জনপ্রিয়তা হ্রাস করে। কালো টাকার মালিকরা এই সুযোগ নেয় না। কিন্তু সরকারের প্রতি মানুষের নেতিবাচক ধারণা জন্ম নেয়।

বাজেট আলোচনায় শিক্ষামন্ত্রী সর্বনিম্ন আয়কর সীমা আরও বাড়ানোর প্রস্তাব করে বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে আসন্ন অর্থ বছরের জন্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে টার্নওভার ট্যাক্সসীমা ৫০ লাখের পরিবর্তে এক কোটি টাকা করা হোক। সেই সঙ্গে যারা ইচ্ছাকৃতভাবে ঋণখেলাপী হয়ে আছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক।

টাইমস/এসএন