কিছুদিন আগে করোনাভাইরাসের কারণে কিছু ত্রাণ আসছে বলে একটি কাগজ নিয়ে সপ্তম শ্রেণির এতিম এক মাদ্রাসাছাত্রীর (১৪) কাছে আসে পার্শ্ববর্তী আকবর (২৮) নামে এক যুবক। ওই যুবক তাকে জানায়, ত্রাণের জন্য সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য আকলিমা বেগম এতিম শিশুর তালিকা করার জন্য পাঠিয়েছেন। তাই এই কাগজে স্বাক্ষর দিতে হবে। ওই মাদ্রাসাছাত্রী কিছু না বুঝেই কাগজে স্বাক্ষর দিয়ে দেয়। এর কিছুদিন পরে আকবর মাদ্রাসাছাত্রীর কাছে এসে ওই কাগজ দেখিয়ে বলে যায় সে তার বিয়ে করা বউ।
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের চরলাঠিমারা এলাকায় এমন এক ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী মাদ্রাসাছাত্রী এমনটায় দাবি করেছে।
এ ঘটনায় আকবরকে আটক করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত আকবর পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের চরলাঠিমারা এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে।
ওই মাদ্রাসাছাত্রী জানান, আমি মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে প্রায়ই আমাকে অনৈতিক প্রস্তাব দিত সে। আমি সে সময় রাজি না হয়ে আমার মামার কাছে অভিযোগ করায় আমাকে বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে যায়।
ওই মাদ্রাসাছাত্রীর মামা ইসমাইল হোসেন জানান, আমি আকবরের নৌকায় শ্রমিকের কাজ করি। আকবর একজন লম্পট প্রকৃতির লোক। সে এর আগেও এরকম কাজ করেছে। আকবর আমাকে নৌকায় নদীতে নিয়ে মারধর করেছে এবং যদি কারো কাছে অভিযোগ দেই তবে নদীতে ফেলে মেরে ফেলবে বলে হত্যার হুমকি দিয়েছে। আমি ও আমার পরিবার এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে আকবর বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাকে ফাঁসানোর জন্য এই ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সংরক্ষিত ইউপি সদস্য আকলিমা বেগম বলেন, আমার নাম বলে আকবর নামের এক ব্যক্তি স্ট্যাম্পে এক মাদ্রাসাছাত্রীর স্বাক্ষর নেয়ার কথা জেনেছি। তবে আমার কাছে কেউ আসেনি।
এ ঘটনায় আকবর নামের একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন পাথরঘাটা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফ উল্যাহ তাহের।
টাইমস/এইচইউ