করোনা রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে চট্টগ্রামে সমিরুল ইসলাম বাবু নামে আরও এক চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী ডা. সমিরুল ইসলাম বাবু চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন।
করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর প্লাজমা থেরাপির মাধ্যমে ডা. সমিরুল ইসলাম বাবু’র চিকিৎসা শুরু হয়। কিন্তু তারপরও করোনার কাছে পরাজিত হন ডা. সমিরুল।
দীর্ঘ ৩৩ দিন করোনা আক্রান্ত থাকার পর বুধবার দুপুর ২টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর মেট্রোপলিটন হাসপাতালের আইসিইউতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
ডা. সমিরুলের চিকিৎসায় নিয়োজিত ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান বলেন, প্লাজমা থেরাপিসহ অন্যান্য চিকিৎসা পেয়ে ডা. সমিরুল বেশ সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। করোনামুক্ত হওয়ার পর খানিকটা সেরে উঠায় কিছুদিন আগে তাকে চমেক হাসপাতাল থেকে মেট্রোপলিটন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে একটি কেবিনে অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে তার চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল।
ডা. মিনহাজুর আরও জানান, বুধবার সকালের দিকে হঠাৎ ডা. সমিরুল ইসলাম বাবু’র শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। পরে তাকে আইসিইউতে নিয়ে ভেন্টিলেটর সাপোর্ট দেয়া হয়। সেখানে নেয়ার ঘণ্টাখানিক পরে তিনি মারা যান।
প্রসঙ্গত, গত ২১ মে করোনা আক্রান্ত হলে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ডা. সমিরুলকে। পরে ২৬ মে চট্টগ্রামে প্রথম করোনা রোগী হিসেবে ডা. সমিরুল ইসলামকে প্লাজমা থেরাপি দেয়া হয়।
টাইমস/এসএন