বাবা প্রবাসী। মা ও চাচাদের সঙ্গে বাস করতো দশম শ্রেণির ছাত্রী নওমী পারভীন (১৪)। দীর্ঘদিন ধরে একটি স্মার্টফোন কিনে দেয়ার জন্য বায়না করে আসছিল নওমী। পরিবার থেকে তাকে ঈদুল ফিতরের পর মোবাইল ফোন কিনে দেয়ার কথা বলে। তবে শেষ পর্যন্ত তা দেয়নি। এ কারণে মায়ের ওপর অভিমান করে ঘরের চালার বাঁশের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে নওমী পারভীন।
বগুড়া শহরের ধাওয়াপাড়া (নাটাইপাড়া) এলাকায় বুধবার ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বগুড়া সদর থানার এসআই সোহেল রানা জানান, মরদেহটি সুরতহালে আত্মহত্যার সব আলামত পাওয়া গেছে। মেয়েটির বাবা প্রবাসে থাকেন। তার মা ও চাচাদের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় তাদের অনুরোধে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহটি হস্তান্তর করা হয়েছে।
বগুড়া সদর থানার ওসি এসএম বদিউজ্জামান জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে কারও অভিযোগ না থাকায় এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।
টাইমস/এইচইউ