৭৫ কোটি টাকায় বিক্রি চাইনিজ ফুলদানি

চাইনিজ পণ্য বলতেই আমরা সাধারণত সস্তা পণ্যের কথাই ভেবে থাকি। এদিকে সম্প্রতি হংকংয়ে আয়োজিত এক নিলামে একটি চাইনিজ ফুলদানি বিক্রি হয়েছে ৯ মিলিয়ন ডলারে (বাংলাদেশী মুদ্রায় যা ৭৫ কোটি টাকারও বেশি)। অথচ একসময় এর মূল্য ছিল মাত্র ৫৬ ডলার! ইউরোপের কাউন্টি সাইডে বসবাসকারী এক বয়স্ক নারীর বাড়িতে ফুলদানিটি এতদিন পড়ে ছিল, যা শনিবার নিলামে আকাশ ছোঁয়া মূল্যে বিক্রি হয়।

নিলামকারী প্রতিষ্ঠান সোথবে কর্তৃপক্ষ বলছে, “এটি অষ্টাদশ শতাব্দীর হারিয়ে যাওয়া একটি মাস্টারপিস, যা এতদিন ভদ্র নারীর অজান্তে তার বাড়িতেই ছিল। কারুকার্য খচিত এই বিশেষ ফুলদানিটি চীনের জিয়াঙলং সম্রাটের জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল, যিনি দীর্ঘ ছয় দশক ধরে চীনের শাসন করেছেন।”

সোথবে এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চোও বলেন, “এটি সত্যিই খুব আশ্চর্যজনক ঘটনা যে এমন একটি অতি মূল্যবান শিল্প প্রায় অর্ধশত বছর এমন একটি বাড়িতে টিকে ছিল যেখানে প্রচুর গৃহপালিত প্রাণী রয়েছে।”

উল্লেখ্য, ১৭৪২ ও ১৭৪৩ সালে সম্রাটের মৃৎ শিল্পী টাং ইংয়ের পরিচালনায় যেসব বিশেষ মৃৎ পাত্রে নকশা প্রণয়ন করা হয়েছিল, এটি তার মধ্যে একটি। এটি ‘ইয়াঙ চাই’ বা ‘ফরেন কালার’ নামে পরিচিত চীনামাটির বাসন শৈলীর একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ।

সোথবে’র দেয়া তথ্য অনুযায়ী এই অসাধারণ শিল্পটির আবিষ্কারের কৃতিত্ব আমস্টারডামের আর্ট কনসাল্ট জোহান বস্চ ভন রোসেনথালের। তিনিই ৮০ বছর বয়সী এক নারী বাড়ি থেকে শনাক্ত করতে সক্ষম হন, ধারণা করা হচ্ছে- ওই নারী উত্তরাধিকারসূত্রে ফুলদানিটির মালিক।

সোথবে’র রেকর্ড থেকে জানা যাচ্ছে এই একই ফুলদানি আরও একবার তাদের নিলামে বিক্রি হয়েছিল। ১৯৫৪ সালে লন্ডনে অনুষ্ঠিত এক নিলামে এটি মাত্র ৫৬ ডলারে বিক্রি হয়েছিল, পরবর্তীতে অন্য একটি নিলামে একই বছর ফুলদানিটি ১০১ ডলারে বিক্রি হয়। ১৯৫৪ সালের আগে এর মালিক ছিলেন হ্যারি গ্রার্নার। তথ্যসূত্র: সিএনএন

 

টাইমস/এনজে/জিএস

Share this news on: