গর্ভাবস্থার প্রথম ২৬ সপ্তাহের মধ্যে মায়ের শরীরে যদি ভিটামিন ডি-র মাত্রা কম থাকে তবে তিনি ব্যাপক হারে প্রিক্যালম্পসিয়ায় ভুগতে পারেন। ইউনিভার্সিটি অফ পিটসবার্গ গ্র্যাজুয়েট স্কুলের পাবলিক হেলথ স্টাডির গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য।
প্রিক্যালম্পসিয়া বলতে বোঝায় হাইপার টেনশন, উচ্চ রক্তচাপ, মানসিক অবসাদ, মূত্রে প্রোটিনের মাত্রা বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি।
গবেষকরা তাদের গবেষণায় প্রায় ৭০০ জন গর্ভবতী নারীর রক্তের নমুনা সংরক্ষণ করেছিলেন। রক্তের পরীক্ষা করে দেখা গেছে- যাদের শরীরে ভিটামিন-ডি এর মাত্রা তুলনামূলক কম রয়েছে সেই নারীরা পরবর্তীকালে গুরুতরভাবে প্রিক্যালম্পসিয়ার শিকার হয়েছেন।
এই গবেষণার প্রধান গবেষক লিসা বডনার এবং তার সহকর্মীরা আরও প্রায় ৩,০০০ জন নারীর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেন, যারা একেবারেই প্রিক্যালম্পসিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন না।
গবেষকেরা দেখেন কয়েকটি সাধারণ বিষয় নারীদের শরীরে ভিটামিন-ডি নিয়ন্ত্রণ করে, সেগুলি হলো- প্রাক গর্ভাবস্থায় শরীরে ভর সূচক, গর্ভধারণের সংখ্যা, ধূমপান, খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক কার্যকলাপ ইত্যাদি।
এছাড়াও শরীরে ভিটামিন-ডি এর উৎসের একটি প্রধান মাধ্যম হল সূর্যালোক। এই গবেষণায় আরও প্রমাণিত যে, শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন-ডি থাকলে এটি গুরুতর প্রিক্যালম্পসিয়ার ঝুঁকি প্রায় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কম করতে পারে।
তবে গবেষকেরা দেখেছেন গর্ভাবস্থায় সামান্য প্রিক্যালম্পসিয়া হয়েই থাকে, এর সঙ্গে যদিও ভিটামিন ডি-র কোনো সম্পর্ক নেই। এই গবেষণাটি অ্যাপিডেমিনোলজির একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
টাইমস/জিএস