পাঠাও’য়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহিমের সেই খুনি শনাক্ত!

জনপ্রিয় রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাও এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ’র সম্ভাব্য খুনিকে চিনতে সক্ষম হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ। ব্যবসায়িক বিরোধের কারণে এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্ট একাধিক পুলিশ সূত্রকে উদ্ধৃত করে এমন তথ্য জানিয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবার নিউইয়র্কের ম্যানহাটন এলাকার নিজ অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ফাহিমের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিউইয়র্ক পোস্টের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফাহিমের সম্ভাব্য খুনিকে (পারসন অব ইন্টারেস্ট) শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে নিউইয়র্ক পুলিশ। এ ব্যাপারে পুলিশের একাধিক সূত্র তাদেরকে নিশ্চিত করেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে খুনির ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছে পুলিশ।

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সম্ভাব্য ওই খুনি নিরাপত্তা হেফাজতে নেই। তাকে এখনও গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি।

উদিয়মান তরুণ উদ্যোক্তা ফাহিম সালেহ হত্যাকান্ডের ঘটনায় বিশ্বজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। মার্কিন মুলুকেও শুরু হয়েছে নানা প্রতিক্রিয়া।

এদিকে স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজে ফাহিমকে সর্বশেষ তার অ্যাপার্টমেন্টের লিফটে উঠতে দেখা গেছে। ওই লিফটে তার সঙ্গে সম্পূর্ণ কালো পোশাক পরা একজন প্র্রবেশ করেন। লিফটটি সোজা ফাহিমের অ্যাপার্টমেন্ট ইউনিটে গিয়ে থামে।

পরে অজ্ঞাত ওই ব্যক্তি ফাহিমের বাসায় জোরপূর্বক ঢুকে পড়ে। এসময় ফাহিমের সঙ্গে তার ধ্বস্তাধস্তিও হয়। যা সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট হওয়া গেছে।

ওই ফুটেজ পর্যালোচনা করে নিউইয়র্ক পুলিশ মনে করছে, কালো পোশাক পরিহিত ব্যক্তিটিই ফাহিমের সম্ভাব্য খুনি। পুলিশ বলছে, অপরাধীর কাছে একটা স্যুটকেস ছিল। সে ছিল খুবই পেশাদার। ওই ব্যক্তির পরনে ছিল স্যুট, হাতে গ্লাভস ও মাথায় হ্যাট।

এদিকে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে নিউইয়র্ক শহরের চিফ মেডিক্যাল এক্সামিনারের কার্যালয়কে উদ্ধৃত করে সিএনএন জানিয়েছে, হত্যার শিকার ফাহিমের শরীরে বেশ কয়েকটি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ঘাড় ও কাঁধে মারাত্মক ছুরিকাঘাতের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on: