দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজের মহড়া : উত্তেজনা

দক্ষিণ চীন সাগরে দ্বৈত নৌ মহড়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর বিমানবাহী দুই জাহাজ। এর মধ্য দিয়ে বিবাদপূর্ণ ওই জলসীমায় এক মাসের মধ্যেই দ্বিতীয়বারের মতো বড় ধরনের যুদ্ধজাহাজের সমাবেশ ঘটালো যুক্তরাষ্ট্র। এতে দক্ষিণ চীন সাগরে নতুন করে সামরিক উত্তেজনার আশঙ্কা আরো ঘনীভূত হলো।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জুলাইয়ের শুরুর দিকে দক্ষিণ চীন সাগরের প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জ এলাকায় সামরিক মহড়া চালিয়েছিল চীন। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন তখনই চীনের মহড়ার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছিল। পাশাপাশি পেন্টাগন প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জ এলাকায় নৌ-মহড়া চালানোর ঘোষণা দেয়।

ওই সময় যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর সেভেনথ ফ্লিটের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জোয়ে জেইলি বলেন, ফিলিপাইন সাগর ও দক্ষিণ চীন সাগরে দুইটি ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপের মহড়ার মধ্য দিয়ে আমাদের বাহিনীগুলো অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ লাভের সুযোগ পেয়েছে।

লেফটেন্যান্ট জোয়ে জেইলি আরও বলেন, কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কিংবা বিশ্বের ঘটনাপ্রবাহের জেরে এ জাহাজগুলো পাঠানো হচ্ছে না। বরং ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকায় নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা, ও সমৃদ্ধি রক্ষায় মার্কিন নৌবাহিনী যেসব কাজ করে থাকে, এগুলোও তারই অংশ।

চলতি মাসের শুরুতে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের সেই ঘোষণা মতে এরই মধ্যে নৌ-মহড়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক ফ্লিট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দক্ষিণ চীন সাগরে দ্য ইউএসএস রোনাল্ড ও ইউএসএস নিমিৎজ নামক বিমানবাহী জাহাজ অনুশীলন চালাচ্ছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শুক্রবার নাগাদ এ দুই যুদ্ধজাহাজে নিয়োজিত আছে ১২ হাজারেরও বেশি সেনা সদস্য। এছাড়া ওই দুই বিমানবাহী জাহাজের মাঝখানে ১২০টিরও বেশি বিমান মোতায়েন আছে। এগুলো যুদ্ধপ্রস্তুতি ও দক্ষতা যাচাই করতে কৌশলগত বিমান প্রতিরক্ষা মহড়া চালানো হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, মৎস্য সম্পদসহ খনিজ আহরণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগর দিয়ে বছরে প্রায় ৫ লাখ কোটি ডলারের পণ্য পরিবহন হয়ে থাকে। বিস্তীর্ণ এই সমুদ্রপথকে নিজেদের অঞ্চল বলে দাবি করে আসছে চীন। তবে আরও কয়েকটি দেশও ওই অঞ্চলের ওপর সার্বভৌমত্ব দাবি করে।

দেশগুলো হলো- মালয়েশিয়া, ব্রুনাই, ইন্দোনেশিয়া, তাইওয়ান, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনাম। যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে ওই অঞ্চলে অধিকার দাবি না করলেও আন্তর্জাতিক সমুদ্রপথ হিসেবে তাতে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে চায়।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on: