মহামারী-বন্যায় দিশেহারা দক্ষিণ এশিয়া

চলমান মহামারীর মধ্যেই এবার দক্ষিণ এশিয়া ও চীনে আঘাত হানল বন্যা। ভারি বৃষ্টি আর নদ-নদীর পানি বাড়ায় নাস্তানাবুদ দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ দেশ। বন্যায় গত এক মাসে প্রায় ২৫০ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছে ভারত, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া ও চীনে।

দেশগুলোতে পানি বন্দি হয়ে পড়েছে ১০ লাখের বেশি মানুষ। অসহায় মানুষ ঘর-বাড়ি ছেড়ে তাই আশ্রয় নিয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র আর উঁচু স্থানে। ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য আসামের কাজিরাঙ্গা ন্যাশনাল পার্কের ৯০ শতাংশ এখন পানির নিচে। সেখানে মারা গেছে শতাধিক প্রাণী। এছাড়া ভারতের আসামের বেশিরভাগ এলাকা এখন পানির নিচে। ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়ায় ডুবেছে রাজ্যটির সাড়ে ২৬শ' গ্রাম। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২৭ লাখেরও বেশি মানুষ। ভারতের উত্তরের রাজ্য বিহারের অবস্থাও ভয়ানক। বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় দিশেহারা বাসিন্দারা। এছাড়া, রাজধানী নয়াদিল্লীতে পানি বন্দি আছে বহু মানুষ।

ভারতের কর্মকর্তারা বলেছেন, ভারী বর্ষণে বৃহস্পতিবার মুম্বাইয়ের দুটি ভবনের আংশিক ধসে পড়ে। এতে এক ভবনের ছয়জন এবং অন্য একটি ভবনের দুজন প্রাণ হারান। এ নিয়ে দেশটিতে বন্যা ও ভূমিধ্বসে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০১ জনে।

নেপালের কর্মকর্তারা বলছেন, গত এক মাসে বন্যায় দেশটিতে অন্তত ১১৭ জন মানুষ জীবন হারিয়েছে। পার্বত্য এলাকায় ভূমিধ্বস ও দক্ষিণের সমতল অঞ্চলে বন্যার কারণে এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ রয়েছে অন্তত ৪৭ জন। আহত হয়েছে ১২৬ জন।

চীনে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা উহানে। দেশটির মধ্য ও পূর্বাঞ্চলে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা। ফলে ‘সর্বোচ্চ সতর্কতা’ জারি করা হয়েছে হুবেই প্রদেশের উহানসহ আনহুই, জিয়াংশি ও ঝেঝিয়াং প্রদেশে। ভয়াবহ বন্যায় উহানে ব্যাহত হচ্ছে মহামারী করোনা মোকাবিলা কার্যক্রম। এছাড়া সাংহাইয়েও পানি বইছে বিপদসীমার ওপরে।

দক্ষিণ এশিয়ায় ১.৮ বিলিয়ন মানুষের বসবাস। একই সঙ্গে পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক গরীব মানুষ থাকে এ দক্ষিণ এশিয়ায়।

 

টাইমস/টিএইচ

Share this news on:

সর্বশেষ