মালাবার সংলগ্ন জলসীমায় নৌমহড়ার আগেই বঙ্গোপসাগরে মার্কিন রণতরীর সঙ্গে ‘পাসেক্স’ নৌমহড়া সম্পন্ন করেছে ভারত। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছে বঙ্গোসাগরে মার্কিন রণতরী ইউএসএস নিমিৎজের সঙ্গে নৌ-মহড়ায় অংশ নেয় ভারতের নৌবাহিনী।
পূর্ব লাদাখ সীমান্তে চীনের সঙ্গে ভারতের উত্তেজনার টানটান পরিস্থিতির মাঝেই মার্কিন রণতরীর সঙ্গে এই নৌমহড়া চীনের জন্য কড়া বার্তা মানছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
ইউএসএস নিমিৎজ এবং ইউএসএস রোনাল্ড রেগান পরমাণু অস্ত্রবাহী রণতরী দক্ষিণ চীন সাগরে এতদিন মোতায়েন ছিল। এবার বঙ্গোপসাগর হয়ে পশ্চিম এশিয়ায় ফেরার পথে ভারতীয় নৌবাহিনীর সঙ্গে ‘পাসেক্স’ নৌমহড়ায় অংশ নেয় দুই মার্কিন রণতরী।
ভারতীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, দক্ষিণ চীন সাগরে বরাবরই নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে যাচ্ছে চীন। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, দক্ষিণ চীন সাগরে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে গিয়ে কয়েকটি দেশের সার্বভৌমত্বে আঘাত করছে চীন।
আর তাই বাণিজ্য সংঘাতের পরে শান্তিরক্ষার অজুহাতে দক্ষিণ চীন সাগরে নিজেদের চারটি রণতরী মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যা মোটেও ভাল ভাবে নেয়নি শি জিন পিং।
জানা গেছে, চলতি বছরের শেষদিকে বঙ্গোপসাগরে মালাবার বার্ষিক নৌমহড়ায় অংশ নিতে চলেছে ভারত-জাপান-যুক্তরাষ্ট্র। মালাবার প্রশিক্ষণের জন্য অস্ট্রেলিয়াকে নিমন্ত্রণ পাঠানো হতে পারে বলেও জানা গেছে। মালাবারে এই বার্ষিক নৌসেনা মহড়া তথা মালাবার এক্সারসাইজ আগে ছিল ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক নৌমহড়া। পরে জাপানও যোগ দেয় এতে।
২০১৭ সালে ভারত, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র মিলে বঙ্গোপসাগরে নৌমহড়া সম্পন্ন করে। যার নাম ছিল ‘মালাবার ২০১৭।’
যদিও ভারত মহাসাগরের সীমানা পেরিয়ে বঙ্গোপসাগরেও তৎপরতা বাড়িয়েছে চীন। এছাড়া প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে চীনের একাধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অস্বস্তিতে রয়েছে ভারত। এছাড়া গালওয়ান উপত্যকায় সংঘাতের আগেই ভারত মহাসাগরে ক্ষেপণান্ত্র প্রতিরোধী চীনা যুদ্ধজাহাজের আনাগোনা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। কিন্তু চীনের দাবি, বাণিজ্য জাহাজের নিরাপত্তা দিতেই মহাসাগরগুলোতে চীন সামরিক জাহাজ মোতায়েন রেখেছে।
টাইমস/এসএন