মসজিদে মাইকে আযান দেয়ার বিরোধিতা করে ভারতের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন হিন্দুত্ববাদি দল বিজেপি’র সাংসদ অর্জুন সিং। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে পাল্টা মামলা করার হুমকিও দিয়েছিলেন ভারতের মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ। শেষমেষ হাইকোর্টে গিয়ে পাত্তা পাননি অর্জুন সিং।
তবে মসজিদের মাইকে আজান বন্ধ করতে না পেরে চুপ থাকেননি অর্জুন সিং। কট্টর হিন্দুত্ববাদি বিজেপির এই সাংসদ এবার ঈদুল আযহায় পশু কোরবানি বন্ধ করার জন্য জনস্বার্থ মামলা (পিআইএল) করেছেন।
ঈদুল আজহা মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। ঈদুল আজহায় পশু কোরবানি করা ধর্মীয় বিধান। আর তাই, এটি মুসলিমদের কাছে অত্যন্ত ধর্মানুভূতির জায়গা। কিন্তু ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সাংসদ অর্জুন সিং মামলা করায় ভারত জুড়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, ঈদুল আজহায় পশু কোরবানি বন্ধ করতে ভারতে এটাই প্রথম মামলা নয়। এর আগেও ভারতের হাইকোর্টে একাধিক মামলা হয়েছে। ২০০৮ সালে প্রথম মুসলিমদের পশু কোরবানি বন্ধের দাবিতে মামলা করা হয়। তবে ওই মামলায় আদালত নির্দেশ দেন, কোরবানির ঈদের সময় পশুহত্যার নিয়ম মানতে হবে। আদালত আরও নির্দেশ দেন, কোরবানির পশু কসাইখানায় নেয়ার আগে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হবে।
এরপর ২০১৯ সালে ভারতে মুসলিমদের পশু কোরবানি বন্ধে জনস্বার্থ মামলা করা হয়। মামলাকারীর অভিযোগ ছিল, পশুহত্যার নিয়ম না মেনেই ঈদুল আজহায় কোরবানি করা হয়। কিন্তু আদালত সেসময় তা আমলে নেননি।
এদিকে আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সাংসদ অর্জুন সিংয়ের কোরবানি বিরোধী মামলায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। অর্জুন সিং তার মামলায় জানতে চেয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার পশুহত্যা নিয়ে কী ব্যবস্থা নিচ্ছে?
তবে এবারও কোরবানি বিরোধী মামলা আদালতে টিকবে না বলে দাবি করেছে ভারতের মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ। সংগঠনের নেতারা জানান, বিতর্কিত সাংসদ অর্জুন সিং আলোচনার কেন্দ্রে আসার জন্যই কোরবানি বিরোধী মামলা করেছেন। কিন্তু তার এই মামলা টিকবে না। কারণ ভারত ধর্মীয় চরমপন্থায় বিশ্বাস করে না।
টাইমস/এসএন