পবিত্র হজ পালনের সুযোগ পেয়ে আনন্দের কান্না

আগামী সপ্তাহে অল্প সংখ্যক মানুষ নিয়েই সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র হজ। করোনার ভয়াবহ সংক্রমণের কারণে এবার সীমিত পরিসরে হবে হজ।

গেল মাসে সৌদি হজ মন্ত্রণালয় ঘোষণা দেয়, সৌদি আরবে অবস্থানরত ব্যক্তিদের মধ্যে খুবই সীমিতসংখ্যক মুসল্লি এবারের হজে অংশ নিতে পারবেন। করোনা মহামারির পরিপ্রেক্ষিতে সারা বিশ্বের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সৌদি সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এমন সিদ্ধান্তের ফলে বাইরের দেশের মুসল্লিরা এবার সৌদি আরবে গিয়ে পবিত্র হজ পালন করতে পারবেন না। এবার পবিত্র হজ পালনের জন্য সৌদি আরবে অবস্থানরত অসংখ্য মুসল্লি আবেদন করেন।

সৌদি সরকার জানায়, সৌদিতে অবস্থানরত ১৬০টি দেশের আবাসিক মুসল্লিরা হজ পালনে সরকার-পরিচালিত লটারিতে অংশ নেন। লটারির মাধ্যমে হাজার দশেক মুসল্লি হজ পালনের সুযোগ পাচ্ছেন। ফলে আবেদনকারীদের বেশির ভাগই হতাশ। যদিও এই বাছাই প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে অভিযোগ রয়েছে।

হজ করতে সুযোগ পাওয়া এমনই সৌভাগ্যের অধিকারী জর্ডানের এক দম্পতি। সৌদি আরবে অবস্থানরত জর্ডানের এই দম্পতি সুযোগ পেয়ে কেঁদেই ফেললেন। তবে তাদের এই কান্না দুঃখের নয়, সুখের। যাকে বলে আনন্দাশ্রু। জর্ডানের এই দম্পতি এবার পবিত্র হজ পালনের সুযোগ পেয়েছেন। এই আনন্দে তাদের চোখে পানি।

রিয়াদে বসবাসরত জর্ডানের ২৯ বছর বয়সী ইঞ্জিনিয়ার ও তার ২৬ বছর বয়সী স্বাস্থ্যকর্মী স্ত্রী এবারের পবিত্র হজ পালনের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।

জর্ডানের এই ইঞ্জিনিয়ার বলেন, ‍“অসংখ্য আবেদনের মধ্যে আমাদের নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল ১ শতাংশ। নির্বাচিত হওয়ায় আমরা বিস্মিত, আনন্দিত।”

রিয়াদে বসবাসরত নাইজেরীয় প্রবাসী নাসেরও হজ পালনের সুযোগ পাচ্ছেন। তিনি বলেন, “নির্বাচিত হওয়ার অনুভূতি বর্ণনা করার ভাষা নেই।”

একপর্যায়ে যেখানে হজ পালনই অনেকটা নিশ্চিত ছিল না, সেখানে এই অবস্থায় হজ করতে সুযোগ পাওয়া সৌভাগ্যেরই বটে। তারা হলেন সেই সৌভাগ্যবানদের একেকজন।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on: