করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে বিশ্বের বহু দেশেই এখন মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। করোনা প্রতিরোধে লকডাউনের চেয়েও মাস্কের ব্যবহার কার্যকর পন্থা হিসেবে মনে করা হয়। তবে সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা বলছে- মাস্ক সুস্থ মানুষের শারীরিক শক্তি হ্রাস করে।
বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত হয়েছেন যে, মাস্ক পরা বা নাক মুখ ঢেকে রাখা একজন সুস্থ মানুষের শারীরিক শক্তি কমিয়ে দিতে ভূমিকা রাখে। জার্মানির লাইপৎজিশ বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল সোমবার এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন এসে যায়, যারা মাস্ক পরে শারীরিক পরিশ্রম করেন, তাদের কি কাজের মাঝে আগের তুলনায় এখন আরও বেশি বিরতি নেয়া উচিত? তবে জার্মানিতে এখনো চিকিৎসকরা জোর দিয়ে মাস্ক পরার কথাই বলছেন।
বিশেষজ্ঞরা তাদের সমীক্ষা চালাতে দুই ধরনের মাস্ক ব্যবহার করেন; সার্জিক্যাল মাস্ক ও এফএফপি মাস্ক- যা সাধারণত চিকিৎসকরা ব্যবহার করেন। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের বিশেষ ধরনের স্টেশনারী বাইক বা সাইকেল চালাতে দেয়া হয়।
কখনো মাস্ক ছাড়া আবার কখনো সার্জিক্যাল মাস্ক বা এফএফপি মাস্কসহ। এতে দেখা গেছে, মাস্কসহ অংশগ্রহণকারীদের শ্বাস প্রশ্বাসে বাধা সৃষ্টি করে। নিঃশ্বাস ছাড়ার সময় বাতাসের গতি কমে যায়। তাছাড়া এর্গোমিটার বা বিশেষ সাইকেল চালকদের সম্ভাব্য সর্বোচ্চ শক্তি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়। সেই সময় তারা স্বস্তিবোধ করেছিলেন না বলেও জানান।
লাইপৎজিশের চিকিৎসকরা বলেন, ‘‘এই সমীক্ষাটি কোনোভাবেই সমালোচনা বা মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা নিয়ে নয়। বরং করোনা মহামারির বিস্তাররোধে বা কমিয়ে আনতে মাস্ক পরা জরুরি। মাস্ক পরে থাকলে সুস্থ মানুষের শারীরিক শক্তি ধীরে ধীরে কমে যায় তা এখন বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হলেও করোনার ভয়াবহতার কথা আমাদের বিবেচনায় রাখা উচিত।’’
টাইমস/জিএস