সুস্থ নবজাতকের লক্ষণ

নবজাতকের বয়সসীমা নিয়ে নানা ধরণের বিভ্রান্তি রয়েছে। কারও মতে ১ মাস, কারও মতে ৩ মাস, আবার কেউ কেউ ৬ মাস বয়সী শিশুকেও নবজাতক বলে থাকেন। তবে চিকিৎসা বিজ্ঞানে জন্মের পর থেকে ২৮ দিন পর্যন্ত শিশুদের নবজাতক বলা হয়। একজন নবজাতক সুস্থ কি না সেটা জানা খুবই জরুরি। কেবল শারীরিক গঠন ভাল হলেই তাকে সুস্থ বলে না। সুস্থতা বলতে শারীরিক এবং পারিপার্শ্বিক দিকগুলো ঠিকঠাক চলছে কি-না সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। সে ক্ষেত্রে একজন নবজাতকের কোন কোন বিষয় গুলো ঠিক থাকলে তাকে আমরা সুস্থ নবজাতক বলব সেই বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন বারডেম-২ জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. তাহমীনা বেগম।

মাতৃগর্ভে থাকার বয়স : ৩৭- ৪২ সপ্তাহ।

জন্মকালীন ওজন : ২৫০০-৪০০০ গ্রাম।

শ্বাস-প্রশ্বাস : নিয়মিত। নবজাতক স্বতঃস্ফূর্তভাবে শ্বাস নেবে এবং প্রতি মিনিটে ৩০-৪০ বার শ্বাস-প্রশ্বাস নেবে।

গায়ের রং: সমস্ত শরীর গোলাপী থাকবে। তবে মাঝে মাঝে হাত পায়ের আঙুল ও ঠোট নীল বর্ণের থাকতে পারে। বিশেষ করে শীতকালে ও গোসলের পর।

হৃদপিণ্ডের গতি : ১০০-১৬০ প্রতি মিনিটে।

তাপমাত্রা : ৯৭.৫ থেকে ৯৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট (বগলে)। কোনো ধরণের জন্মগত সমস্যা থাকবে না।

খাবার : জন্মের পরপরই বুকের দুধ টানতে পারবে।

প্রস্রাব: শতকরা ৯৫ ভাগ শিশু জন্মের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রস্রাব করে।

পায়খানা : বেশির ভাগ নবজাতক জন্মের ১২ ঘণ্টার মধ্যে এবং ৯৯ ভাগ শিশু ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পায়খানা করে। যদি এরমধ্যে পায়খানা না হয় এবং সঙ্গে বমি বা পেটফুলা থাকে তাহলে ডাক্তারের কাছে নিতে হবে ।

ঘুম : সুস্থ নবজাতক সাধারণত ১৮ থেকে ২০ ঘণ্টা ঘুমিয়ে কাটায়। মাঝে খাবারের জন্য জাগে, আবার ঘুমিয়ে পড়ে।

মনে রাখবেন শিশু সুস্থ আছে কিনা জানার জন্য জন্মের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে একজন নবজাতককে ডাক্তার দেখানো দরকার।

 

টাইমস/এসই/এইচইউ

Share this news on: