মানুষ তিনভাবে শিখে- দেখে, শুনে আর ঠেকে। যদি জন্মের সময় থেকেই কানে শোনার অসুবিধে হয় তাহলে কথা শিখবে কীভাবে! বর্তমান করোনার ভয়ে তো আমরা এই সমস্যার কথা প্রায় ভুলতে বসেছি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি ১০০ জন শিশুর মধ্যে ৪ জন স্বাভাবিক ভাবে শুনতে পায় না। অথচ বাবা মা বা বাড়ির অন্যরা খেয়াল করেন না বা ডাক্তারকে জানান না বলে ধরা পড়ে না। আর এর ফলে বাচ্চার কথা বলার সমস্যা হয়।
গর্ভাবস্থায় হবু মায়ের কিছু অসুখ বিসুখ এবং কানের গঠনগত কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি থাকলে বাচ্চার শ্রবণক্ষমতার সম্পূর্ণ ব্যবস্থাপনায় নানা ত্রুটি দেখা যেতে পারে। যেসব কারণে বাচ্চার জন্মগত শ্রবণক্ষমতার সমস্যা হতে পারে সেগুলি হলো-
চলুন জেনে নেই, কানে শুনতে অসুবিধা হয় কেন
কখন টেস্ট করানো দরকার
ডাকলে বা জোরে শব্দ হলে বাচ্চা চমকে উঠলে বা ভয় পেয়ে কাঁদলে সমস্যা নেই। কিন্তু যদি কোনও শব্দেই সে রিঅ্যাক্ট না করে, বুঝতে হবে সমস্যা আছে। ১২-১৫ মাস বয়সে বাচ্চারা মা, বাবা, দাদা ইত্যাদি বলতে শেখে। না বলতে পারলে বুঝতে হবে, সমস্যা আছে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই নিওনেটাল হিয়ারিং স্ক্রিনিং করা উচিৎ। জন্মের সময়ই এই পরীক্ষাগুলি করিয়ে নিলে ভালো হয়। এই পরীক্ষাগুলি যন্ত্রণাহীন এবং উচ্চ প্রযুক্তির যন্ত্রপাতির সাহায্যে করা হয় এবং দ্রুত রোগ নির্ণয় করা যায়। সুতরাং কোনো সন্দেহ হলে অবশ্যই ডাক্তার দেখানো উচিৎ।
টাইমস/জিএস