ফের আকাশে উড়বে বিমান দুর্ঘটনার জন্য কুখ্যাত ‘বোয়িং ৩৭৩ ম্যাক্স’

২০১৭ সালে বাজারে আসার পর মাত্র দুই বছরের মধ্যেই গ্রাউন্ডেড করে দেয়া হয় বিশ্বের আধুনিকতম বিমান ‘বোয়িং ৩৭৩ ম্যাক্স’ এর সব কয়টি ফ্লাইট। পর পর দু’টি বৃহৎ বিমান দুর্ঘটনার পর অভিযোগ ওঠে বিমানটির ডিজাইনগত ত্রুটি একে দুর্ঘটনা প্রবণ করে তুলেছে।

সব মিলিয়ে বোয়িংয়ের নতুন মডেলের এই বিমানটির দুটি পৃথক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হয়েছিল ৩৪৬ জনের। স্বাভাবিক নিয়মেই যাত্রীদের আস্থা হারায় অত্যাধুনিক এই মডেলটি। ফলস্বরূপ ২০১৯ সালের মার্চ থেকে বিশ্বের সবকয়টি ‘বোয়িং ৩৭৩ ম্যাক্স’ বিমান আকাশে ওড়া নিষিদ্ধ হয়।

এরপর বিশ্বের বিভিন্ন বিমান সংস্থার আস্থা হারাতে শুরু করে আধুনিক এই মডেলটি। শুধুমাত্র ২০২০ সালের মধ্যেই বাতিল করা হয় ৪১৬টি অর্ডার। এর মধ্যে গত জুলাইয়ে ৪৩টি অর্ডার বাতিল হয়েছে।

তবে আবারো নতুন এই মডেলটিকে পুনরায় আকাশে ফেরানোর পরিকল্পনা করছে বোয়িং। কোম্পানিটির ঘোষণা অনুযায়ী, সব ঠিক থাকলে এ বছরের শেষ নাগাদ ‘বোয়িং ৩৭৩ ম্যাক্স’ তার দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে চলেছে। তবে এর সাফল্য অনেকটাই নির্ভর করবে গ্রাহকদের আত্মবিশ্বাসের উপর।

‘বোয়িং ৩৭৩ ম্যাক্স’ মডেলটির সর্বনিম্ন দাম ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর বিমানটির সব থেকে বড় সুবিধা হলো এতে জ্বালানি খরচ অনেক কম লাগে।

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, অন্য যেকোনো ইন্ডাস্ট্রির মতোই বিমান সংস্থাগুলোও যাত্রীদের চাহিদার কথা মাথায় রাখবেন। যাত্রীরা যদি ‘বোয়িং ৩৭৩ ম্যাক্স’ মডেলের বিমানে চলাচল করতে ভরসা না পায়, তাহলে অত্যাধুনিক এই মডেলটি ব্যর্থতার মুখ দেখতে বাধ্য। ফলে বলা যায় যাত্রীদের আস্থার উপরেই নির্ভর করছে বিশ্বের আধুনিকতম এই বিমান মডেলটির ভবিষ্যৎ।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা থেকে প্যাঙ্গাল পিনাং গামী একটি ‘বোয়িং ৩৭৩ ম্যাক্স’ উড্ডয়নের মাত্র ১৮ মিনিটের মাথায় জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হয়। এই ঘটনায় ১৮৯ জন যাত্রী ও বিমানকর্মী নিহত হন।

এর মাত্র পাঁচ মাস পরে ইথিওপিয়ার কেনিয়ার নাইরোবি যাওয়ার পথে উড্ডয়নের মাত্র ৬ মিনিটের মাথায় আরেকটি ‘বোয়িং ৩৭৩ ম্যাক্স’ বিমান বিধ্বস্ত হয়। উক্ত ঘটনায় ১৫৭ জনের প্রাণহানি ঘটে।

তথ্যসূত্র: গ্লোবাল নিউজ (কানাডা)

 

টাইমস/এনজে

Share this news on: