বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, ডায়াবেটিস আক্রান্ত প্রায় ৮০ শতাংশ লোক এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে বসবাস করেন। বাংলাদেশেও ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বেড়ে চলেছে।
শুধুমাত্র বয়স্কদের মধ্যেই ডায়াবেটিস দেখা যাচ্ছে এমনটা নয়, এমনকি ৩ মাস বয়সী বাচ্চাদের মধ্যেও ডায়াবেটিস শনাক্ত হচ্ছে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সর্বোত্তম উপায় হলো স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা।
তবে অনেক সময় ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইনসুলিন নিতে হয় বা ওষুধের প্রয়োজন হয়। তবে একটি সুপরিকল্পিত খাদ্য তালিকা এবং সক্রিয় জীবনযাপন দীর্ঘ মেয়াদে ডায়াবেটিস রোগীর জন্য সর্বোত্তম পন্থা।
খাদ্য হিসেবে চিনাবাদাম অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর হলেও ডায়াবেটিস রোগীরা তা খেতে পারবেন কিনা সেটা নিয়ে প্রায়শই বিভ্রান্তি দেখা দেয়। যেহেতু চিনা বাদাম পুষ্টিগুণ ও আমিষ সমৃদ্ধ শক্তিবর্ধক খাবার তাই অনেকেই মনে করেন এটি ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
চিনাবাদাম ‘লিগাম’ জাতীয় খাবার, এ জাতীয় খাবারে কিছুটা শর্করা থাকে। তবে সব শর্করা ডায়াবেটিসের জন্য ক্ষতিকর নয়, লিগাম জাতীয় খাবারে বিদ্যমান শর্করা রক্তে শর্করার পরিমাণকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে না।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল পিনাট বোর্ডের মতে, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত লোকদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাদের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই চিনাবাদাম এবং চিনাবাদামের বাটার অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। চিনাবাদাম এবং চিনাবাদাম থেকে তৈরি বাটারের গ্লাইসেমিক সূচক কম, ফলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য এটি পুরোপুরি নিরাপদ। তবে কখনোই মাত্রাতিরিক্ত চিনা বাদামের খাওয়া উচিত নয়।
কিভাবে চিনাবাদাম খাবেন?
আমাদের দেশে সাধারণত আমরা ভাজা চিনাবাদাম খোসা ছাড়িয়ে খেতে অভ্যস্ত। বিকালের আড্ডায় বা খেলা-মুভি দেখার সময় এভাবে অনেকে চিনা বাদাম খেয়ে থাকেন।
তবে এছাড়াও আরো অনেকভাবে চিনাবাদাম খাওয়া হয়। খোসা ছাড়ানো চিনাবাদাম ভাজা পেয়াজ, শসা, টমেটো প্রভৃতির সাথে মাখিয়ে খেতে বেশ সুস্বাদু।
অনেকে কাঁচা চিনাবাদাম রাতে ভিজিয়ে রাখেন এবং সকালে সেটি গ্রহণ করেন। কাঁচা চিনা বাদাম অবশ্য অনেকেই খেতে পছন্দ করেন না।
তাছাড়া চিনাবাদাম থেকে তৈরি বাটার ও ব্রেড দিয়ে স্যান্ডউইচ বানিয়ে খাওয়া যায়।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
টাইমস/এনজে