২১ আগস্ট হামলার সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত সরকার জড়িত -প্রধানমন্ত্রী

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারি জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের জন্য কিছু করার সুযোগ দিতেই আল্লাহ আমাকে হয়তো বাঁচিয়ে রেখেছেন। আমি জানি না, নইলে এরকম অবস্থা থেকে বেঁচে আসা সম্ভব না। এটা অত্যন্ত কষ্টকর।

শুক্রবার ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ট্রাজেডি স্মরণে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেছেন।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল এ সভায় দলটির সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আবদুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়–য়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপসহ দলের কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেদিন সংসদে ওই ঘটনা নিয়ে আওয়ামী লীগকে কথাও বলতে দেয়নি বিএনপি। একটা দেশে এই রকম একটা ঘটনা ঘটে গেছে, আমি তখন বিরোধী দলের নেতা, আমার ওপর এমন একটা হামলা। কিন্তু তা নিয়ে পার্লামেন্টে কথা বলতে পর্যন্ত দেয়া হয়নি। উপরন্তু তৎকালীন সংসদ নেতা, লিডার অফ দ্য হাউস, প্রধানমন্ত্রী, সে দাঁড়িয়ে বলে দিল- ‘উনাকে আবার কে মারবে’।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ২০০১ সালের পর থেকে ২০০৬ পর্যন্ত পুরো দেশে ‘সন্ত্রাসের রাজত্বে’ পরিণত করেছিল। আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূণ্য করতে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমাদের সেই অধিকারটুকু সেদিন পার্লামেন্টে ছিল না। আমাদের কাউকে মাইক দেয়া হয়নি তখন। কোনো আলোচনা করতে দেয়নি। এসবের দ্বারা কী প্রমাণিত হয়? তৎকালীন সরকার সরাসরি ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত।

প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ আয়োজিত মিছিল-পূর্ব সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ওই সময় সমাবেশের মঞ্চে থাকা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে গুলিবর্ষণ করে হামলাকারীরা।

হামলায় সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতাকর্মী নিহত হন। আহত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ পাঁচ শতাধিক।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on: