নাটোরের লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া ইউনিয়নের ফুলবাড়ি মোড় থেকে দিলালপুর অর্জুনতলা সড়কটি ২০ বছরেও সংষ্কার হয়নি। ফলে রাস্তাজুড়ে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। পুরো বর্ষা মৌসুম রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় জমে থাকে হাঁটু পানি। প্রায়ই দুর্ঘটনায় পড়ে যানবাহন।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসী রাস্তাটি সংস্কারের দাবি করে আসছে। কিন্তু আজও কোন কাজ হয়নি। মাস দেড়েক আগে স্থানীয়রা প্রতিবাদস্বরূপ রাস্তায় ধান লাগিয়ে দেয়। রাস্তায় লাগানো সেই ধান এখন পরিপক্ক হয়ে গেছে। কিন্তু তাতেও টনক নড়েনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
এই রাস্তাটি আবদুলপুর জংশন ও আবদুলপুর সরকারি কলেজে যাওয়ার একমাত্রপথ। এই রাস্তা দিয়ে ফুলবাড়ি, হাগরাগাড়ি ও দিলালপুর এলাকাসহ আশেপাশের প্রায় কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন চলাচল করে। কিন্তু দীর্ঘ ২০ বছরেও রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে রাস্তাটি চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে স্থানীয় কয়েক হাজার মানুষ। তবে রাস্তাটি দীর্ঘদিন থেকে এই বেহাল দশা হলেও এখন পর্যন্ত সংস্কারের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, ফুলবাড়ি মোড়ে পাকা রাস্তায় হাঁটু পানি জমে আছে। সেই পানিতে ভেসে বেড়াচ্ছে হাঁসের পাল। দেখে বোঝার উপায় নেই এটা রাস্তা নাকি ছোট-খাটো জলাশয়। রাস্তার ধারে লাগানো আছে কিছু ধানের গাছ। তবে অনেকেই প্রয়োজনের তাগিদে হাঁটু পানি মাড়িয়েই চলাচল করছে।
স্থানীয় বেলাল উদ্দিন বলেন, এই রাস্তাটা দীর্ঘ ২০ বছর যাবত কোন সংস্কার হয়নি। ৩ কিলোমিটার রাস্তা খানাখন্দে বর্তমানে চলাচল অনুপোযোগী হয়ে আছে। আর এখানে সবসময় পানি জমে থাকে।
এলাকার অপর এক বাসিন্দা গাজিয়ার রহমান বলেন, এই রাস্তা দিয়ে দিলালপুর, রায়পুর, হাগড়াগাড়ির এলাকার মানুষ ওয়ালিয়া থেকে বনপাড়ায় চলাচল করে। আর বনপাড়া-ওয়ালিয়ার মানুষ আবদুলপুর জংশন ও ছাত্রছাত্রীরা আবদুলপুর সরকারি কলেজে যাতায়াত করে।
লালপুর উপজেলা প্রকৌশলী জুলফিকার আলী বলেন, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য রক্ষণাবেক্ষণের আওতায় দেয়া আছে। আগামী মাসে সংস্কারের কাজ শুরু হতে পারে।
টাইমস/এসই/এসএন