কুড়িগ্রাম: ফুসকা খাচ্ছিলেন দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে, তুলে নিয়ে গেল প্রথম স্ত্রীর লোকজন

দ্বিতীয় স্ত্রী, শাশুড়ি ও দুই শ্যালিকাসহ ফুসকা খাচ্ছিলেন আশরাফুল আলম। ফুসকা খাওয়ার সময় ওই স্থানে হঠাৎ একটি মাইক্রোবাস এসে দাঁড়ায়। মাইক্রোবাসে থাকা প্রথম স্ত্রী আর্জিনার ভাইসহ কয়েকজন যুবক গাড়ি থেকে নেমে কৌশলে আশরাফুল আলমকে ডেকে নেয়। তারা আশরাফুল আলমকে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলে নেয়।

রোববার রাতে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের উমানন্দ পণ্ডিতপাড়া গ্রামের নুরবক্ত আলীর পুত্র আশরাফুল আলমের (২৮) সঙ্গে প্রায় ৮ বছর পূর্বে পার্শ্ববর্তী ধামশ্রেণী ইউনিয়নের যাদুপোদ্দার গ্রামের আজিজার রহমানের কন্যা আর্জিনা বেগমের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে।

এরপর প্রায় দুই বছর পূর্বে আশরাফুল আলম পৌর শহরের জোনাইডাঙ্গা গ্রামের সুমন মিয়ার মেয়ে শামীমা আক্তার সুমির (২১) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে গোপনে তাকেও বিয়ে করেন। কিছুদিন পূর্বে এ ঘটনা ফাঁস হলে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে আশরাফুল আলমের সম্পর্কের অবনতি ঘটে।

আশরাফুলের দ্বিতীয় স্ত্রী সুমি জানান, রোববার রাতে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা অফিসের সামনে কাচারী পুকুরপাড়ে স্ত্রী, শাশুড়ি ও দুই শ্যালিকাসহ ফুসকা খেতে আসে আশরাফুল আলম। ফুসকা খাওয়ার সময় ওই স্থানে হঠাৎ একটি মাইক্রোবাস এসে দাঁড়ায়। মাইক্রোবাসে থাকা প্রথম স্ত্রী আর্জিনার ভাইসহ কয়েকজন যুবক গাড়ি থেকে নেমে কৌশলে আশরাফুল আলমকে ডেকে নেয়। তারা আশরাফুল আলমকে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলে নেয়।

তিনি আরও জানান, তখন স্ত্রী সুমি স্বামীকে রক্ষা করার জন্য গাড়িতে উঠার চেষ্টা করলে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া হয়। এরপর গাড়িটি দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ সময় সুমি গাড়ির পেছনে কান্না করতে করতে ছুটতে থাকেন। পরে স্থানীয় লোকজন তার কাছে ঘটনার বিস্তারিত শুনে থানা পুলিশে খবর দেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উলিপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমীন জানান, ওই যুবককে উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আশা করি দ্রুতই তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: