‘রাষ্ট্রপরিচালনার জন্য সব কিছুর ভিত তৈরি করে গেছেন বঙ্গবন্ধু। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানসহ মানুষের মৌলিক চাহিদা কীভাবে পূরণ হবে, দেশের আইন কী হবে, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো, গরিবের সহায়তা করাসহ সব বিষয়ে তিনি কাজ করে গেছেন। রোববার গণভবন থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত জাতীয় শোক দিবসের এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু এতকিছু করার পরও কিছু কিছু লোক লেখে, বঙ্গবন্ধু কোনো উন্নয়ন করেননি। কেন? কী উদ্দেশে তারা এগুলো বলে। অনেকে গণতন্ত্রের কথা বলে। সামরিক আইন দিয়ে কখনও গণতন্ত্র হয় না। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর আমাদের দলের অনেক নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। অনেককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও কিছু মানুষ গণতন্ত্রের কথা বলেন। জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা গণতন্ত্রের মূল লক্ষ্য। আর গণতন্ত্র থাকলেই কেবল মৌলিক চাহিদা পূরণ সম্ভব। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরই মানুষ গণতন্ত্রের স্বাদ পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের সীমানা নির্ধারণ ও সমুদ্রসীমা নির্ধারণে বঙ্গবন্ধু কাজ করেছেন। একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ, কোনও রিজার্ভ নেই; সেখান থেকে দেশকে নিয়ে তিনি যেভাবে এগিয়ে গেছেন, তা আমাদের জন্য বিস্ময়।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও পুলিশসহ সব কিছুর ভিত তৈরি করে গেছেন। জাতিসংঘ ও কমনওয়েলথসহ বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক সব গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার সদস্য করে গেছেন তিনি।
তিনি বলেন, মিলিটারি ডিকটেটর দ্বারা তৈরি করা দলের কেউ যেন আমাদের দলে না আসে। তারা উড়ে এসে জুড়ে বসে। তারা আমাদের জন্য ক্ষতিকারক।
টাইমস/এসএন