ঝিনাইদহে বিট পুলিশিং কার্যক্রম আরো জোরদার করার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ‘বিট পুলিশিং বাড়ি বাড়ি, নিরাপদ সমাজ গড়ি’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে স্থানীয় পুলিশ লাইনস মিলনায়তনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দিনে ৩ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা অংশ নেন।
কর্মশালায় সেবা সব মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে পুলিশের করণীয় ও দায়িত্ব সম্পর্কে নানা দিক তুলে ধরে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান পিপিএম।
কর্মশালায় পুলিশ সুপার জানান, জেলার ৬টি থানা ও ৬৭টি ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় মোট ৮৫টি বিটে বিভক্ত করে ইতোমধ্যে বিট পুলিশিং কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। প্রতিটি বিটে একজন করে এসআই ও একজন এএসআই এবং ২ জন পুলিশ সদস্য নিয়োজিত আছেন। তারা এলাকার অপরাধ দমন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।
প্রসঙ্গত, পুলিশের সেবাকে জনগণের নিকট পৌঁছে দেওয়া, সেবার মানকে গতিশীল ও কার্যকর এবং পুলিশের সাথে জনগণের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে প্রতিটি থানাকে ইউনিয়ন ভিত্তিক বা মেট্রোপলিটন এলাকাকে ওয়ার্ড ভিত্তিক ভাগ করে পরিচালিত পুলিশিং ব্যবস্থাকে বিট পুলিশিং বলা হয়। পুলিশ রেজুলেশন অব বেঙ্গল ১৯৪৩ সালে এ ধরনের বিট পুলিশিং এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
দেশের বর্তমান পুলিশ প্রধান আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার থাকাকালীন ২০১০ সালে রাজধানীর বৃহত্তর পরিসরে বিট পুলিশিং ব্যবস্থা চালু করেন। চলমান সময়ে তৃণমূল পর্যায়ে এ ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বিট পুলিশিং সংক্রান্ত গাইড লাইন তথ্য স্ট্যান্ডার্ট অপারেটিং প্রসিজিউর ২০২০ প্রণীত হয়েছে। গাইড লাইন মোতাবেক থানার সাথে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের নিবিড় যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে বিট পুলিশিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। মানুষের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড নির্বিঘ্ন এবং নিরাপদ হবে।
টাইমস/ফাতেমা/এইচইউ