গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় সালমা আক্তার নামে (৩৫) এক নারীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তালাকপ্রাপ্ত স্বামীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার উপজেলার মাটিকাটা রেললাইন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
কালিয়াকৈর থানার এসআই আবু সাঈদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ রক্তাক্ত ছুরিসহ তালাকপ্রাপ্ত স্বামী লিটন মিয়াকে আটক করেছে।
নিহত সালমা আক্তার গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বেলতলী এলাকার শাহ আলমের মেয়ে। সালমা আক্তার অ্যাপেক্স ল্যানজারি কারখানার শ্রমিক ছিলেন। আর আটক লিটন মিয়া একই উপজেলার পশ্চিম আগবপুর এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে। লিটন চাকরি করতেন মৌচাক জেনারেল ফার্মাসিটিক্যাল কারখানায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, লিটনের সঙ্গে প্রায় ৯ বছর আগে সালমা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের মাত্র ১৫ দিন পরই পারিবারিক কলহের কারণে সালমা আক্তার তার স্বামীকে তালাক দেন। পরবর্তীতে স্বামী লিটনের পরিবার তাকে বুঝিয়ে আবারও তাদের বিয়ে দেয়। বিয়ের পর তারা দুজনেই গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মাটিকাটা এলাকায় বাসা ভাড়া থেকে চাকরি করতেন। টানা নয় বছর সংসারের পর কয়েক মাস আগে আবারও সালমা আক্তার তার স্বামীকে পারিবারিক কলহের কারণে তালাক দেন। এরপর থেকে তারা আলাদা বসবাস করে চাকরি করে আসছিলেন। একমাস আগে লিটনের চাকরি চলে যায়।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে লিটন একটি ধারালো ছুরি নিয়ে সালমা আক্তারের ভাড়া বাসায় যান। সেখানে তার ঘরে প্রবেশ করে তাকে ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যান। সালমা আক্তারের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এসআই আবু সাঈদ জানান, নিহত সালমা আক্তারের ঘর থেকে রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও অভিযান চালিয়ে অ্যাপেক্স ল্যানজারি কারখানার পাশ থেকে লিটন মিয়াকে আটক করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
টাইমস/এইচইউ