দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখ-এর উপর হামলায় অংশ নেয় দুইজন। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে হামলায় অংশ নেয়া একজন পিপিই পরা অন্যজন মুখোশপরা। তবে তারা কারা এবং কী উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছে, এ ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ঘোড়াঘাট ইউএনওর বাসভবনের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, ওই হামলায় অংশ নেয় দুজন। এদের মধ্যে একজন ছিলো মুখোশ পরা এবং অন্যজন ছিল পিপিই (পার্সোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট) পরা। রাতে তারা এক এক করে বাড়িতে প্রবেশ করে এবং ঘটনা ঘটিয়ে একসঙ্গেই বের হয়ে যায়। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে এমন কথা নিশ্চিত করেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার ওয়াদুদ ভুইয়া ও পুলিশের রংপুর জোনের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য। এর আগেও একই কথা জানান ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, ঘোড়াঘাট উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ঘোড়াঘাট থানা থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে। ওসমানপুরে উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে ইউএনওর বাড়ির পেছনটা সুনশান অবস্থা। নেই তেমন নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বাড়িতে ছিলেন শুধুমাত্র একজন নৈশ্যপ্রহরী। এই অবস্থায় থানা ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান হওয়ায় নিরাপদ ভেবেই দুষ্কৃতিকারীরা নির্বিঘ্নে ওই ঘটনা ঘটাতে পেরেছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে ঘোড়াঘাটে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের পর নানান অভিযানে অংশ নেন ওয়াহিদা খানম। বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ, অবৈধ কারখানা বন্ধসহ বিভিন্ন অপকর্ম বন্ধ করেন তিনি। তিনি কখনই অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননি।
আরও পড়ুন
ওয়াহিদার মাথার খুলি ভেতরে ঢুকে গেছে, অস্ত্রোপচার সম্ভব না: চিকিৎসক
টাইমস/জেকে/এইচইউ