নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় বাইতুস সালাত জামে মসজিদে গ্যাস থেকেই বিস্ফোরণের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিনি।
শুক্রবার রাতের ওই বিস্ফোরণে এরই মধ্যে মসজিদের মুয়াজ্জিন ও এক শিশুসহ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া মসজিদের ইমাম, সাংবাদিক ও সরকারি কর্মকর্তাসহ ২৭ জন দগ্ধ হয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
এদিকে দুর্ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ফায়ার সার্ভিসের বিশেষ টিম। পরিদর্শন শেষে শুক্রবার মধ্যরাতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারি পরিচালনক আবদুল্লাহ আরেফিন জানান, মসজিদের নিচে দিয়ে গ্যাসের একটি পাইপলাইন রয়েছে। ওই পাইপলাইনে অসংখ্য লিকেজ রয়েছে। যে লিকেজ দিয়ে মসজিদের ভেতরে সবসময় গ্যাস উঠে যায়। কিন্তু মসজিদের জানালা দরজা বন্ধ থাকায় গ্যাস বের হতে পারেনি। এমন অবস্থার মধ্যেই এসি চালু করার সময় অথবা বৈদ্যুতিক বাতি জালানোর সময় স্পার্ক থেকে আগুন লেগে যায়। পরে তা বিস্ফোরণ ঘটে।
আবদুল্লাহ আরেফিন বলেন, মসজিদের মেঝেতে জমে থাকা পানিতে গ্যাসের বুদবুদ উঠতে দেখেছি। এরপরই আমরা মসজিদের নিচ দিয়ে প্রবাহিত গ্যাস লাইনের সন্ধান পাই। কাজেই এটা পরিষ্কার যে, গ্যাস থেকেই বিস্ফোরণের সূত্রপাত।
এদিকে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন। তিনি বলেন, বাইতুস সালাত জামে মসজিদের ছয়টি এয়ার কন্ডিশনার (এসি) কীভাবে একইসঙ্গে বিস্ফোরিত হল, তা জানতে হবে। প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনের লক্ষ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তদন্ত কমিটির সদস্যদের নাম এখনো জানা যায়নি।
টাইমস/এসএন