সান্সক্রিম ব্যবহারের উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা আছে। যদিও এটা কখন ব্যবহার করলে ভালো, সে বিষয়ে সবাই অবগত নই। তবে গবেষকদের পরামর্শ সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিনই সান্সক্রিম ব্যবহার করুণ। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে অনুষ্ঠিত এক সান্সক্রিম সম্মেলনে অংশ নেয়া গবেষকরা এ পরামর্শ দিয়েছেন।
সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ার গবেষণা, মেডিক্যাল, জনস্বাস্থ্য ও অ্যাডভোকেসি বিভাগের প্রতিনিধিরা সান্সক্রিম ব্যবহার সংক্রান্ত প্রমাণিত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করেন এবং সিদ্ধান্ত দেন যে, বিশ্বের অধিকাংশ অঞ্চলে প্রতিদিন সান্সক্রিম ব্যবহারে উপকারিতা রয়েছে।
‘কিউআইএমআর বার্গোফার মেডিক্যাল রিসার্চ ইন্সটিটিউট’ এর সহযোগী অধ্যাপক রাশেল নিল বলেন, অধিকাংশ জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ঘরের বাইরের কাজকর্মে সান্সক্রিম ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকে। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো প্রতিষ্ঠানই নির্দিষ্ট করে প্রতিদিন ঘরের অভ্যন্তরে সান্সক্রিম ব্যবহারের পরামর্শ দেয়নি।
তিনি বলেন, ক্রমাগত ক্ষুদ্রাকার সূর্যরশ্মির প্রভাবে ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা ত্বকের ক্যান্সার ও ম্যালানোমা ঘটায়।
এদিকে ২০১৭ সালের একটি জরিপে দেখা গিয়েছিল যে, প্রতি দুইজনের একজন অস্ট্রেলীয় মনে করে প্রতিদিন সান্সক্রিম ব্যবহার অস্বাস্থ্যকর ও বিপজ্জনক। তবে অস্ট্রেলিয়ার পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা টেরি স্লেভিন এটাকে একটি প্রচলিত ভুল ধারণা বলে মনে করেন।
তিনি বলেন, এখানে সুদৃঢ় ও উপযুক্ত প্রমাণ রয়েছে যে, সান্সক্রিম ত্বকের জন্য নিরাপদ এবং খুব স্বল্প সংখ্যক লোকের ক্ষেত্রে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। বরং বেশ কিছু ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, যারা প্রতিদিন সান্সক্রিম ব্যবহার করেন আর যারা করেন না তাদের ভিটামিন-ডি এর মাত্রা একই- বলেছেন টেরি স্লেভিন।
উল্লেখ্য, বিশ্বের সর্বাধিক ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের একটি দেশ অস্ট্রেলিয়া। যার বায়ুমণ্ডলের ওজন স্তরে ছিদ্র রয়েছে, যা ওই অঞ্চলে সর্বাধিক সংখ্যক ক্ষতিকর অতিবেগুনী রশ্মি নির্গত করছে।
টাইমস/এএইচ/জিএস