ভেঙ্গে গেল ড. কামাল হোসেনের গণফোরাম

প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ২৭ বছর পর ড. কামাল হোসেনের হাতে গড়া সংগঠন ‘গণফোরাম’ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। দলটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টুসহ তিন কেন্দ্রীয় নেতার নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা গণফোরাম থেকে বেরিয়ে যান। গণফোরাম থেকে বেরিয়ে যাওয়া অংশের নেতারা আগামী ২৬ ডিসেম্বর দলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল ঘোষণা করেছেন।

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে মোস্তফা মহসিন মন্টুর নেতৃত্বাধীন গণফোরামের বর্ধিত সভায় এ কাউন্সিলের ঘোষণা দেয়া হয়।

এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণফোরামের বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, ২৬ সেপ্টেম্বর ডাকা বর্ধিত সভার সঙ্গে গণফোরামের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। সে মোস্তফা মহসিন মন্টুর নেতৃত্বাধীন দলটির বর্ধিত সভায় ড. কামাল হোসেন গ্রুপের কেউ উপস্থিত ছিলেন না।

মন্টুর নেতৃত্বাধীন গণফোরামের বর্ধিত সভায় দলটির সাবেক নির্বাহী সভাপতি আবু সাইয়িদ বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সংগঠনকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী ও গণমুখী করার লক্ষ্যে আগামী ২৬ ডিসেম্বর জাতীয় কাউন্সিল সম্পন্ন করার। জাতীয় কাউন্সিলকে সফল করার লক্ষ্যে সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টুকে আহ্বায়ক করে ২০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এদিকে বর্ধিত সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, ২৬ ডিসেম্বরের কাউন্সিলে উপস্থিত ডেলিগেটদের মতামত নিয়ে নতুন দলের বিষয়ে পরবর্তি সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

ড. কামাল হোসেন প্রসঙ্গে মন্টু বলেন, আমরা এখনো বিশ্বাস করি ড. কামাল হোসেন আমাদের সঙ্গে আসবেন। তিনি বিতর্কিত লোকদের পরিহার করবেন। রাজনীতির মাঠের পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের নিয়ে দল এগিয়ে যাবে। ২৬ ডিসেম্বরের কাউন্সিলে ড. কামাল হোসেন না এলে তিনি দল থেকে বহিষ্কৃত হবেন।

ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে জোট প্রসঙ্গে মোস্তফা মহসিন মন্টু গণমাধ্যমকে বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার পক্ষে আমি ছিলাম না। বিরোধীতাও করেছিলাম। কিন্তু দলীয় সভাপতি ড. কামাল হোসেন নির্বাচনে গেলেন। আমি তো সভাপতিকে অমান্য করতে পারি না। কিন্তু সেই নির্বাচন কেমন হয়েছে তা তো সবাই জানে। রাতের অন্ধকারে ভোট দেয়া হয়েছে। ড. কামাল হোসেন এসব নিয়ে মোটেও সোচ্চার নন। তাঁর অবস্থান নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on: