চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদে আটকে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ

এবার ঢাকার আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাবুদ্দিন মাদবরসহ (৫০) তিন জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছেন এক তরুণী। পাওনা টাকা ফেরত পেতে চেয়ারম্যানের কাছে বিচার চাইতে যান ওই তরুণী। পরে বিচারের প্রলোভন দেখিয়ে চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন ওই তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। রোববার ঢাকার ৯ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এ অভিযোগে মামলা করেছেন ভিকটিম তরুণী।

আসামিরা হলো- ইউপি চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন মদবর, তার শ্যালক আলমগীর ও চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারি সবুজ শিকদার।

এদিকে রোববার বাদির জবানবন্দি গ্রহণ শেষে অভিযোগ তদন্তে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। সেই সঙ্গে তদন্ত করে দ্রুত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর এক আত্মীয় আশুলিয়া বাজারস্থ সালাউদ্দিন আহম্মেদ শাওন নামে এক ব্যবসায়ীর কাছে ৫ লাখ টাকা পান। কিন্তু দীর্ঘ দিনেও ওই ব্যক্তি টাকা ফেরত না দেয়ায় আশুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে বিচার দেন ওই তরুণী।

তরুণী অভিযোগ করেছেন, চেয়ারম্যান তাকে পাওনা টাকা ফেরত পাইয়ে দিতে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন। পরে চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে বের হয়ে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন ওই তরুণী। কিন্তু চেয়ারম্যানের শ্যালক আলমগীর ও ব্যক্তিগত সহকারি সবুজ সিকদার তাদের পথরোধ করে তরুণীকে মারধর করতে থাকেন। পরে আসামিরা তরুণীকে আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে একটি কক্ষে আটকে রাখে।

মামলার অভিযোগ আরও বলা হয়, পরে চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন মাদবর ওই তরুণীকে ইউনিয়ন পরিষদের রুমে আটকে মারধর করেন। এসময় চেয়ারম্যান ওই তরুণীকে পুলিশে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on: