নকল এন ৯৫ মাস্ক ও নিম্নমানের চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনার অভিযোগে করা মামলায় জেএমআই হাসপাতাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমেটেডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে দুদক।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানান, নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কেনায় দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেপ্তার করেছে দুদক।
এর আগে গত ১ জুলাই জেএমআই, তমা কনস্ট্রাকশন, এলান করপোরেশন, মেডিটেক ইমেজিং লিমিটেড ও লেক্সিকোন মার্চেন্ডাইজ ও টেকনোক্র্যাট লিমিটেডের পাঁচ শীর্ষ কর্মকর্তাকে তলব করে চিঠি পাঠায় দুদক।
তলব নোটিশে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসার জন্য নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জাম ক্রয়সহ বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে অন্যান্যদের যোগসাজশে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বক্তব্য শোনা ও গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন।
৮ জুলাই মেসার্স জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, তমা কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের সমন্বয়কারী (মেডিক্যাল টিম) মতিউর রহমানকে প্রায় ছয় ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানকারী দল।
টাইমস/এইচইউ